বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কনভয়ের উপর হামলা নিয়ে এবার সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্য সরকারের উপর তোপ দাগলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধানখড়। এদিন কড়া সুরে আক্রমণ করলেন তৃণমূল সরকারকে।
কী বললেন রাজ্যপাল
এদিন রাজ্যপাল বলেন, সংবিধান রক্ষা আমার মৌলিক কর্তব্য। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরও সংবিধানিক দায়বদ্ধতা রয়েছে। ওকে সংবিধান মেনে চলতে হবে। ডায়মন্ডহারবারের সাংসদের আচরণ সংবিধানের পক্ষে অবমানকর। যা হল তা গণতন্ত্রের পক্ষে লজ্জাজনক। মুখ্যমন্ত্রীকে সতর্ক করছি। ভারতীয়দের বহিরাগত বলছেন উনি। ভারত এক দেশ সব নাগরিক সমান। একজন দায়িত্বশীল মুখ্যমন্ত্রী এমন ভাষী কী করে প্রয়োগ করেন। মুখ্যসচিব ও ডিজিপির সঙ্গে কথা বলেছি. এমন যেন আর না হয়। রাজ্যের চারিদিকে দুর্নীতি হচ্ছে। বিরোধীদের উপর আক্রমণ হচ্ছে। উনি ক্ষমা চাইলে ওনারই সম্মান বাড়বে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে আমি রিপোর্ট পাঠিয়েছি আমি সতর্ক করার পরেও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে রাজ্যে। রাজ্যপাল কোনও রবার স্ট্যাম্প নয়। এমন ঘটনা আর বরদাস্ত করা হবে না। আগুন নিয়ে আর খেলবেন না। রাজ্যে দুর্নীতি ও পক্ষপাতমূলক আচরণকে প্রশয় দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন, কনভয়ে হামলা নিয়ে এবার ময়দানে মোদী, খোঁজ নিলেন নাড্ডা ও বিজয়বর্গীয়র
সমালোচনা রাজ্যপালের
সেই সঙ্গে তিনি বলেন, কয়েকজন আমলা সরকারি অফিসার হয়েও রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করছেন। এমন ২১ জন আমলার নাম নথিভুক্ত করেছি। রাজ্যে প্রতিবাদ করতে পারছেন না বিরোধীরা। নৃশংস ভাবে দমন করা হচ্ছে। রাজ্যের নিরাপত্তা উপদেষ্টা কাজটা কী। অবসরের পরেও সুযোগ দেওয়ার চেষ্টা। এডিজি আইনশৃঙ্খলা থাকার সময়ে মানবধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে। প্রশাসনের রাজনীতিকরণ করার চেষ্টা চলছে। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে চিঠি পাঠালেও সাড়া দেন না মুখ্যমন্ত্রী। আমার সংবিধানিক দায়িত্বকে লঘু করা যাবে না। করোনা সরঞ্জাম কেনায় দুর্নীতির অভিযোগ। কোথায় রয়েছে সেই তদন্ত রিপোর্ট ?
সেইসঙ্গ তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের গতকালের মন্তব্যেরও সমালোচনা করেন তিনি। গতকাল এক সংবাদমাধ্যমে সৌগত রায় বলেন, কী দরকার ছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী কেন্দ্রে গিয়ে খোঁচানোর। সেই মন্তব্যের সমালোচনা করেন এদিন রাজ্যপাল জগদীপ ধানখড়।