Advertisement

West Bengal Election 2021: শুধুই টিকিট না পাওয়া, নাকি অন্যকিছু, কেন তৃণমূল ছাড়ছেন নেতানেত্রীরা?

সোমবার দেখা গেল তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোক দিলেন রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, সরলা মুর্মু, সোনালী গুহ, জটু লাহিড়ী, দীপেন্দু বিশ্বাসের মত তৃণমূলের নেতা নেত্রী বিধায়কেরা। কিন্তু তাঁদের প্রত্যেকের দলবদলের কারণ টিকিট না পাওয়া এমনটা কিন্তু বলা যাবে না। কারণ রবীন্দ্রনাথ, সোনালী, জটু ও দীপেন্দু টিকিট না পেলেও সরলা কিন্তু টিকিট পেয়েছিলেন। তাহলে কী করণে এমন দলবদলের স্রোত?

প্রতীকী ছবি
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 09 Mar 2021,
  • अपडेटेड 3:02 PM IST
  • কেউ টিকিট না পেয়ে তৃণমূল ছাড়ছেন
  • কেউ ছাড়ছেন পছন্দের কেন্দ্র না পেয়ে
  • আসলে ঠিক কী কী কারণে তৃণমূলে ভাঙন?


বিগত কয়ক মাস ধরেই তৃণমূলে চলছে দল বদলের পালা। সে নেতা, মন্ত্রী, বিধায়ক, সাংসদই হোন বা নিচুতলার কর্মী, তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে (BJP) যাওয়াটাই যেন রাজ্য রাজনীতির হালফিলের ট্রেন্ড। কিছুদিন আগে পর্যন্ত দলত্যাগীদের প্রায় সকলের মুখেই শোনা যাচ্ছিল, তৃণমূলে (TMC) নাকি দমবন্ধকর পরিস্থিতি। সেখানে থেকে নাকি কাজ করা যাচ্ছিল না। আর প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর যাঁরা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাচ্ছেন, তাঁদের বেশিরভাগেরই ক্ষোভ টিকিট না পাওয়ায়। তাঁদের মধ্যে যেমন রয়েছেন বর্ষীয়ান নেতারা, তেমনই রয়েছেন তুলনামূলক অল্প বয়স্ক নেতানেত্রীরাও। 

সোমবারও দেখা গেল তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোক দিলেন রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, সরলা মুর্মু, সোনালী গুহ, জটু লাহিড়ী, দীপেন্দু বিশ্বাসের মত তৃণমূলের নেতা নেত্রী বিধায়কেরা। কিন্তু তাঁদের প্রত্যেকের দলবদলের কারণ টিকিট না পাওয়া এমনটা কিন্তু বলা যাবে না। কারণ রবীন্দ্রনাথ, সোনালী, জটু ও দীপেন্দু টিকিট না পেলেও সরলা কিন্তু টিকিট পেয়েছিলেন। তাহলে কী করণে এমন দলবদলের স্রোত? এক্ষেত্রে উঠে আসছে নানা কারণ। সংবাদ মাধ্যমের সামনে রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেন, তাঁকে যে টিকিট দেওয়া হচ্ছে না তা তৃণমূলের তরফে জানানো পর্যন্ত হয়নি। এমনকি দিন কয়েক আগে দুটি সভায় তৃণমূলনেত্রীর সঙ্গে তাঁর দেখাও হয়েছিল, কিন্তু সেখানেও তাঁকে টিকিট না দেওয়ার বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। এক্ষেত্রে তৃণমূলের তরফে তাঁকে কোনওরকম সৌজন্য দেখান হয়নি বলেই অভিযোগ সিঙ্গুরের মাস্টারমশাইয়ের।

মোটামুটি একই ধরনের কথা শোনা গেল সোনালী গুহর গলাতেও। টিকিট না পেয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে কেঁদে ফেলেছিলেন সোনালী। তাঁকেও বলতে শোনা গেল, টিকিট যে দেওয়া হচ্ছে না তা তাঁকে জানানোও হয়নি। এমনকি সোনালীর দাবি, এই ঘটনার পর দলনেত্রীর কাছ থেকে একটা ফোন আশা করেছিলেন তিনি, কিন্তু সেটাও আসেনি। এক্ষেত্রে বিজেপিতে টিকিট নয়, শুধুমাত্র সম্মানজনক পদ চেয়েছেন বলেই দাবি সোনালীর। অন্যদিকে দীপেন্দু বিশ্বাসের বক্তব্য, গত ভোটে জিতে এলাকায় কাজ করার পরেও তাঁকে টিকিট না দেওয়ার কারণ তিনি বুঝতে পারছেন না। একইভাবে টিকিট না পেয়ে দলত্যাগ করেছেন জটু লাহিড়ীও। তবে সরলা মুর্মুর ক্ষেত্রে অবশ্য অন্য ঘটনা। তাঁকে মালদার হবিবপুর থেকে প্রার্থী করে তৃণমূল। কিন্তু হবিবপুরের পরিবর্তে মালদা কেন্দ্র থেকে দাঁড়ানোর ইচ্ছাপ্রকাশ করেন তিনি। এরপরই তিনি যোগ দেন বিজেপিতে। এদিকে সরলা মুর্মু অসুস্থ এই কারণ দেখিয়ে হবিবপুর কেন্দ্রে প্রদীপ বাস্কেকে পরে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে তৃণমূল। যদিও তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছেন বলেই পালটা দাবি করেছেন সরলা মুর্মু। 

Advertisement

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement