Advertisement

নয়া দিল্লির ছবি পোস্ট করে দাবি, ছবিটি ঘানার গ্রামের বাসিন্দাদের ইসলাম ধর্ম গ্রহণের ছবি

ছবিতে যোশীমঠ আখড়ার মহন্ত রামদাসের সঙ্গে অযোধ্যাবর্তী কমিটির সভাপতিকে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে

এই ছবিটি কি ঘানার?
অর্পিত বসু
  • কলকাতা,
  • 25 May 2022,
  • अपडेटेड 7:43 PM IST

এক ফেসবুক ব্যবহারকারী একটি ছবি পোস্ট করে দাবি করেছেন ছবিটি আফ্রিকার ঘানার। সে দেশে ১৫ টি গ্রামের ৬৮৩১ জন মানুষ একসঙ্গে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার পরে ছবিটি তোলা হয়েছে। 

একই দাবি সহ পোস্টের আর্কাইভ দেখুন এখানেএখানে

ইন্ডিয়া টুডের অ্যান্টি-ফেক নিউজ ওয়ার রুম (আফয়া) অনুসন্ধান করে দেখেছে এই পোস্টের দাবি বিভ্রান্তিকর।

তদন্তে নেমে আমরা প্রথমে রিভার্স সার্চ করে ছবিটির প্রকৃত সূত্র খুঁজে বের করার চেষ্টা করি। 

দেখা যাচ্ছে ছবিটি হিন্দুস্তান টাইমস পত্রিকার। ঘানার নয়, ভারতের।

গেটি ইমেজের ওয়েবসাইটে ছবিটি পোস্ট করা হয়েছে। ক্যাপশনে বলা হয়েছে, ছবিটি ১৬ই অক্টোবর ২০১৯ সালে তোলা হয়েছিল। সেদিন সুপ্রিম কোর্টে রাম মন্দির ও বাবরি মসজিদ মামলার দীর্ঘ শুনানি পর্ব শেষ হওয়ার পরে এই ছবিটি নয়া দিল্লিতে তোলা হয়েছিল। ছবিতে যোশীমঠ আখড়ার মহন্ত রামদাস ও অযোধ্যাবর্তী কমিটির সভাপতি মৌলানা সুহেব কাসেমীকে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। 

সুতরাং, এই ছবিটি ঘানার নয়। ভারতের নয়া দিল্লির। ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে তোলা।

এরপর আমরা কিওয়ার্ড সার্চ করে কোনও বিস্বস্ত ওয়েবসাইটে এমন কোনও খবর খুঁজে পাইনি যেখানে বলা হচ্ছে সম্প্রতি ঘানাতে ১৫টি গ্রামের ৬৮৩১ জন বাসিন্দা একসঙ্গে ইসলাম ধর্ম  গ্রহণ করেছে। 

২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আল-ইতিহাস নামের একটি ওয়েবসাইটে এই খবরটি অবশ্য প্রকাশ করা হয়েছিল।  

এখানে বলা হচ্ছে, ঘানার বিভিন্ন অঞ্চলের ১৫ গ্রামে ৬৮৩১ জন ইসলাম গ্রহণ করেছে বলে দাবি করেছে মুসলিম মিশনারি সংস্থা ‘মুওয়াসসাতু নুমা আল-খায়ের’। সংস্থাটি দাবি করেছিল, এই ১৫টি গ্রামে আগে কোনও ইসলাম ধর্মালম্বী বাসিন্দা ছিল না। 

Advertisement

এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত খবরটি সত্যি হলেও, ফেসবুকের পোস্টটি নিঃসন্দেহে বিভ্রান্তিকর। কারণ পোস্টে ব্যবহৃত ছবিটির সঙ্গে এই খবরটির কোনও সম্পর্ক নেই। ছবিটি ২০১৯ সালের ১৬ই অক্টোবর নয়া দিল্লিতে তোলা হয়েছিল।

ফ্যাক্ট চেক

দাবি

ছবিটি আফ্রিকার ঘানার। সে দেশে ১৫ টি গ্রামের ৬৮৩১ জন মানুষ একসঙ্গে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার পরে ছবিটি তোলা হয়েছে।

ফলাফল

এই ছবিটি ১৬ই অক্টোবর ২০১৯ সালে সুপ্রিম কোর্টে রাম মন্দির ও বাবরি মসজিদ মামলার দীর্ঘ শুনানি পর্ব শেষ হওয়ার পরে তোলা হয়েছিল। ছবিতে যোশীমঠ আখড়ার মহন্ত রামদাস ও অযোধ্যাবর্তী কমিটির সভাপতি মৌলানা সুহেব কাসেমীকে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে।

ঝুট বোলে কাউয়া কাটে

যত বেশি কাক তত বেশি মিথ্যে

  1. কাক: অর্ধসত্য
  2. একাধিক কাক: বেশির ভাগ মিথ্যে
  3. অনেক কাক: সম্পূর্ণ মিথ্যে
আপনার কী মনে হচ্ছে কোনও ম্যাসেজ ভুয়ো ?
সত্যিটা জানতে আমাদের नंबर 73 7000 7000উপর পাঠান.
আপনি আমাদের factcheck@intoday.com এ ই-মেইল করুন
Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement