উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল প্রকাশিত হয়ে গিয়েছে। আর, এবার সেই উচ্চমাধ্যমিকের রেজাল্ট নিয়ে একটি দাবি ভাইরাল হল সোশ্যাল মাধ্যমে।
২৪শে জুলাই মুক্তার লস্কর লস্কর নামের এক ফেসবুক ব্যবহারকারী একটি ছবি পোস্ট করে দাবি করেছেন। ছবিটির ক্যাপশনে লেখা আছে উচ্চমাধ্যমিক সাঁওতালি ভাষায় প্রথম হয়েছেন অনিমা মুর্মু।
পোস্টটির আর্কাইভ দেখতে পাবেন এখানে।
ইন্ডিয়া টুডের অ্যান্টি-ফেক নিউজ ওয়ার রুম (আফয়া) অনুসন্ধান করে দেখেছে এই পোস্টের দাবি বিভ্রান্তিকর।
তদন্তে নেমে আমরা ছবিটিকে রিভার্স ইমেজ সার্চ করে দেখি। দেখা যাচ্ছে ২০১৯ সালের ২৯ মে এই ছবিটি একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী করিমপুর জগন্নাথ হাই স্কুল নামের একটি প্রোফাইলে পোস্ট করেছিলেন। অর্থাৎ, ছবিটি পুরানো।
প্রসঙ্গত, সে বছর ২৭ শে মে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ উচ্চমাধ্যমিকের ফল প্রকাশ হয়েছিল।
এই সূত্রটি ধরে আমরা কিওয়ার্ড সার্চ করে আরও একটি ফেসবুক প্রোফাইলের সন্ধান পাই। পন্ডিত রঘুনাথ মুর্মু আবাসিক স্কুল নামের ওই ফেসবুক প্রোফাইলে ২০১৯ সালের ৩১শে মে দুটি সংবাদপত্রের ক্লিপিংস পোস্ট করা হয়েছে। একটি প্রতিদিন সংবাদপত্রের অন্যটি আনন্দবাজার-এর। ২৮শে ২০১৯ সালে প্রকাশিত এই দুটি সংবাদপত্রে দাবি করা হয়েছে, পন্ডিত রঘুনাথ মুর্মু আবাসিক স্কুল-এর দুই ছাত্রী অনিমা মুর্মু ও সনকা হেমব্রম উচ্চমাধ্যমিকে সাঁওতালি ভাষায় যুগ্ম ভাবে প্রথম হয়েছে। এক নম্বর কম পেয়ে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে অনিমার যমজ বোন অন্তিমা।
প্রসঙ্গত, এ বছরের ফল প্রকাশের আগে পর্ষদ সভাপতি সাংবাদিক সম্মেলনে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, যেহেতু এবছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা হয়নি তাই তাঁরা ২০২১ সালে কোনও মেধা তালিকা প্রকাশ করছেন না।
সুতরাং, বলা যেতেই পারে যে এই ফেসবুক পোস্টের দাবি বিভ্রান্তিকর।
একটি ছবি পোস্ট করে দাবি ছবিটি উচ্চমাধ্যমিক সাঁওতালি ভাষায় প্রথম স্থানাধিকারী অনিমা মুর্মুর।
ছবিটি পুরানো। ২০১৯ সালে উচ্চমাধ্যমিকে সাঁওতালি ভাষায় যুগ্মভাবে প্রথম হয়েছিল অনিমা মুর্মু।