১৯৭৮ সালের সেপ্টেম্বর মাস। সেই বছর ৯৪৪.৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছিল শুধু কলকাতায়। যার জেরে বন্যা হয়েছিল। শুধু কলকাতা কেন, গোটা রাজ্যের পরিস্থিতিই ছিল ভয়াবহ। বন্যার জেরে মারা গিয়েছিলেন অনেকে।
ইতিহাসে পাকাপাকিভাবে জায়গা করে নিয়েছে ১৯৭৮ সালের সেই বন্যা। কেমন ছিল সেই সময়ের পরিস্থিতি? সেই বন্যার যাঁরা দেখেছিলেন, তাঁরা আজও সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা ভুলতে পারেননি। অনেকে বলেন, বন্যার জেরে শহর কলকাতার কোনও কোনও একতলা বাড়ি ডুবে গিয়েছিল।
সেই সময় BBC- একটি প্রতিবেদনে লিখেছিল, পশ্চিমবঙ্গের কোনও কোনও জায়গা ১৮ ফিট জলের তলায় ছিল। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল বাংলায় প্রায় দেড় কোটি মানুষ।
এই বন্যার জেরে রাজ্যজুড়ে বিছিন্ন হয়ে পড়েছিল যোগাযোগ ব্যবস্থা। গ্রাম-গঞ্জের অনেক মানুষ বেঁচে থাকার জন্য সামান্যতম খাবারও পাননি। আবার বন্যার পরে বেড়েছিল রোগের প্রকোপ। তার জেরেও অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন অনেকেই।
সেই সময় The Statesman দাবি করেছিল, বন্যায় মেদিনীপুরেই মৃত্যু হয়েছিল প্রায় ১৫ হাজার জনের। যদিও সরকার সেই দাবি নাকচ করে দেয়।
এই কাগজেই ছাপা হয়েছিল, বাঁকুড়া, হুগলি, মেদিনীপুর, নদিয়া, কলকাতা, মুর্শিদাবাদ সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। শুধু ঘাটালেই নাকি লক্ষাধিক মানুষ বন্যায় আটকে ছিলেন।
বিভিন্ন প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বৃষ্টি শেষ হওয়ার কয়েকদিন পরও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। জল নামতে বেশ কয়েকদিন সময় লেগেছিল। ফলে অনেককেই অভুক্ত অবস্থায় দিন কাটাতে হয়েছিল। সরকারের তরফে পরে জানানো হয়, এই বন্যায় ৪৫ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তবে এই সংখ্যা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন।