রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের দিল্লি সফর ঘিরে জল্পনার অবকাশ নেই। ঠিক কী কারণে তিনি দিল্লি গিয়েছেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এদিন সকালে তিনি বৈঠক করেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে। রাতে তিনি বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে। কোনও বৈঠকের আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে রাজ্যপাল খোলসা করেননি। রাতে তিনি দেখ তবে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করার কথা কেবল একটিমাত্র লাইন ট্যুইটবার্তায় ব্যবহার করেন ধনখড়।
রাজ্যপালের দিল্লি সফর ঘিরে এদিন কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "ওনাকে যখন নিয়োগ করা হয়েছিল, তখন আমাকে বলা হয়নি। যদিও এটা নিয়মে আছে। আমি কী করে জানব উনি কেন গিয়েছেন। আমি প্রধানমন্ত্রীকে ২-৩বার চিঠি লিখেছি ওনাকে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য। কিন্তু এর কোনও উত্তর পায়নি।"
কয়েকদিন আগেই ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে মঙ্গলবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখেছেন রাজ্যপাল ধনখড়। সেখানে তিনি লিখেছেন, "ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসন এখনও নীরব। রাজ্যে মানবাধিকার লুন্ঠিত। মহিলাদের সম্মান নষ্ট হচ্ছে। সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। যা স্বাধীনতার পর থেকে ভারতের গণতন্ত্রে ঘটা এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে খারাপ ঘটনা। বারবার আবেদন করা সত্ত্বেও মন্ত্রিসভায় এসব নিয়ে একবারও আলোচনা করা হয়নি। দুর্গতদের জন্য কোনও সদর্থক পদক্ষেপ করা হয়নি। রাজ্যপালের আরও দাবি, দুর্গতদের স্বার্থে রাজ্যের কাজ করা উচিত। কিন্তু, বাস্তবে তা হচ্ছে না।"
রাজ্যপালের চিঠির উত্তরে ৫টা ট্যুইট করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতর। সেখানে লেখা, "পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে নিয়ে যে পর্যবেক্ষণ রাজ্যপাল করেছেন তা অনাকাঙ্খিত, অপ্রত্যাশিত ও হতাশাজনক। তিনি যে তথ্য প্রকাশ করেছেন তার সঙ্গে বাস্তবের কোনও মিল নেই। নিয়ম না মেনে রাজ্যপাল খোলা চিঠি দিয়েছেন মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীকে। এতে পারস্পরিক সম্পর্ক ও বোঝাপড়ার ব্যাঘাত ঘটে। সরকার আরও বিস্মিত, কারণ, যে তথ্য রাজ্যপাল পরিবেশন করেছেন তা মনগড়া। এর সাথে বাস্তবের কোনও সম্পর্ক নেই।"