রাজ্য-রাজনীতির এখন হট টপিক ভবানীপুরের উপনির্বাচন। কোমর বেঁধে ভোটপ্রচারে নেমে পড়েছে প্রধান ২ প্রতিদ্বন্দ্বী BJP ও TMC। মিছিল-পাল্টা মিছিলে সরগরম এখন ওই কেন্দ্র। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলেছিলেন, ভবানীপুরে এগিয়ে থেকেই শুরু করছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে ভোটের ময়দানে নেমে এক ছটাকও জমি ছাড়তে নারাজ দিলীপ ঘোষের দল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে 'আটকাতে' একগুচ্ছ পরিকল্পনা নিয়েছে তারা। কী কী সেই পরিকল্পনা -
ভবানীপুরকে টার্গেট করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে ময়দানে নামিয়েছে গেরুয়া শিবির। বিভিন্ন সভা থেকে তিনি বলছেন, ভবানীপুরেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হারবেন। এই শুভেন্দুর কাছেই নন্দীগ্রামে পরাজিত হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, শুভেন্দুকে সামনে রেখে তৃণমূলের মনোবলে চিড় ধরাতে চাইছেন দিলীপ ঘোষরা।
আরও পড়ুন : অশান্তি হলেই পদক্ষেপ, ভোটের আগে পুলিশকে নির্দেশ নবান্নর
গত শনিবার BJP-র একটি বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে একাধিক রণকৌশল ঠিক করে গেরুয়া শিবির। সূত্রের খবর, একুশের নির্বাচনে ভবানীপুরের যে যে ওয়ার্ডে BJP প্রার্থী কম ভোট পেয়েছেন, সেই ওয়ার্ডগুলিতে জোর দেওয়া হচ্ছে। সেই জায়গাগুলিতে জনসংযোগ বাড়ানোর উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, পিছিয়ে থাকা ওয়ার্ডে একটি করে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খুলে প্রচার করা যা কিনা, তা নিয়েও চিন্তাভাবনা চলছে দলের অন্দরে।
শনিবারের বৈঠকে ভবানীপুরে দেওয়াল লিখন নিয়েও সিদ্ধান্ত নিয়েছে BJP। সূত্রের খবর, ভবানীপুরে বেশিরভাগ দেওয়াল তৃণমূল কংগ্রেস দখল করে নিয়েছে। তার বিকল্প হিসেবে প্রচুর পরিমাণে পোস্টার-ব্যানার ছাপানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে গেরুয়া শিবির।
আরও পড়ুন : COVID বিধি-নিষেধের মেয়াদ বাড়ল রাজ্যে, কী খোলা কী বন্ধ?
আবার ভবানীপুরে ভোটের জন্য বড় দায়িত্বে আনা হয়েছে অর্জুন সিংকে। ভবানীপুরের আসন্ন উপনির্বাচনে পর্যবেক্ষক হিসাবে নিযুক্ত করা হয়েছে তাঁকে। অর্জুন সিংয়ের সহকারী হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সৌমিত্র খাঁ ও জ্যোতির্ময় সিং মাহাতোকে।
নির্বাচন কমিশনের কাছেও ইতিমধ্যেই দরবার করেছেন BJP নেতারা। তাঁরা বারবার দাবি জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের মাধ্যমেই যেন নির্বাচন হয়। এই নিয়ে মঙ্গলবার খোদ শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হলে BJP-ই জিতবে।