Dilip Ghosh on WB Governor Jagdeep Dhankhar: রাজ্য়পালের বিরুদ্ধে লড়াই করা পশ্চিমবঙ্গের ঐতিহ্য! যখন আর কাউকে পাওয়া যায় না, তখন রাজ্যপালের পিছনে পড়ে যায় সবাই। মঙ্গলবার কারও নাম না করে এভাবেই শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে বিঁধলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ (BJP Vice President Dilip Ghosh)। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (WB Governor Jagdeep Dhankhar)-এর সঙ্গে রাজ্য সরকারের কিছু বিষয়ে মতপার্থক্য তৈরি হয়েছে।
তৃণমূলকে তোপ
এদিন তিনি (BJP Vice President Dilip Ghosh) আরও বলেন, "বাংলার একটা ঐতিহ্য, কাউকে না পেলে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে লড়াই করা হয়। আগে লড়াই, লড়াই, লড়াই চাই স্লোগান শুনতাম। আর কোনও লড়াই এখন বাকি নেই। হয় কেন্দ্রে বিরুদ্ধে লড়াই, না হলে কেন্দ্রে প্রতিনিধি রাজ্যপালের বিরুদ্ধে।"
তিনি (BJP Vice President Dilip Ghosh) তৃণমূলকে আরও আক্রমণ করেন। বলেন, "এখানে লড়াইটা সীমিত হয়ে গিয়েছে। দারিদ্র্য, করোনরা বিরুদ্ধে, অসুখবিসুখের বিরুদ্ধে লড়াই নেই। রাজ্যপালই টার্গেট। আমি জানি না ওঁর বিরুদ্ধে জিতে কী লাভ!"
বিরোধীশূন্য
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি (BJP Vice President Dilip Ghosh) আরও বলেন, "ভোট তো আমরা জানি। বিল রাজ্যপাল সই করেননি। তিনি বলেছেন। সেই নিয়ে কিছু গণ্ডগোল আছে। তৃণমূল তখনই ভোট করবে যখন পুরোপুরি ভোট লুঠ করে জিততে পারবে। কেবল জেতার জন্য, পুরোপুরি বিরোধী-শূন্য করার জন্য, সেই প্ল্যানিং বোধহয় হয়নি।"
রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে কড়া আক্রমণ
এ নিয়ে তিনি অভিযোগ করেন, পুরোপুরি তৃণমূলের হয়ে কাজ করছেন। ১১৮-১২০টি পুরসভার ভোট বাকি রয়েছে। এক-একটা কেন করানো হচ্ছে? কেন পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য মানুষকে সে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: Urfi থেকে Sanjida পোশাকের জন্য ট্রোলড হয়েছেন এই টেলিসুন্দরীরা
যখন টিএমসি চাইবে, তিনি জিতবেন, দিদি তখন নির্বাচন করবেন। যেভাবে কলকাতায় ভোট হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র আদৌ কিছু আছে, এ তো বিশ্বাসই হয় না।
বিজেপি ছেড়ে যাওয়া নিয়ে
পার্টির কোনও পুরনো লোক পার্টি ছাড়েনি। যাঁরা এসেছিলেন, তাঁদের ওপর চাপ আছে। তাই তাঁরা আস্তে আস্তে বাধ্য হচ্ছেন চলে যেতে। এবং বলেই যাচ্ছেন, আমাকে ঝান্ডা ধরতে হবে, না হলে দোকান খুলতে পারব না। না হলে পাড়ায় ঢুকতে পারব না।
তিনি আরও দাবি করেন, আমাদের পুরনো কিছু কর্মী কলকাতার যাঁরা রয়েছেন, যাঁরা পাড়ায় ঢুকতে পারছেন না। বাইরে রয়েছেন। আমরা ভোটে সেভাবে লড়তে পারেনি। কারণ দলের কর্মীরা ভয়ে বেরোননি। যাঁরা ২০১৯ সাল পর্যন্ত লড়াই করে ১৮টা লোকসভা সিটে জিতেছিলেন। অনেকে চাপ নিতে পারছেন না। তা সে এমএলএ-এমপি হোক বা অন্য কেউ। তাই ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন।
হুমায়ুন কবীর নিয়ে
উনি বিভিন্ন পার্টি করেছেন। উনি ভাবেন, উনি সেখানকার জমিদার। তাঁকে তৃণমূল নিয়েছে, ওঁর কথা তো শুনতেই হবে। এটা নিয়ে কিছু বলার নেই। উনি যেভাবে রাজনীতি করেন, সেটাও সবাই জানেন। দলের মধ্যে হয় তো কনফ্লিক্ট হয়ে যাচ্ছে।