Advertisement

Sheikh Shahjahan Case Live Updates: স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর শাহজাহানকে আনা হল নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে

আদালতের নির্দেশের পরেও ধৃত শাহজাহান শেখকে নিজেদের হেফাজতে পায়নি সিবিআই। বুধবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে আইনজীবী বিরাজ ত্রিবেদী বলেন,'মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টের মধ্যে শাহজাহান শেখকে সিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করার নির্দেশ মানেনি রাজ্য পুলিশ'।

শেখ শাহজাহান
Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 06 Mar 2024,
  • अपडेटेड 9:43 PM IST
  • শেখ শাহজাহানকে হেফাজতে পেল সিবিআই।
  • সিবিআইয়ের হাতে হস্তান্তর করল সিআইডি।

- স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে আনা হল শেখ শাহজাহানকে। গোটা এলাকা ঘিরে কেন্দ্রীয় বাহিনী। জোরদার নিরাপত্তা।  

- জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে শেখ শাহজাহানকে। সেখানে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাবে সিবিআই। 

- দু'দিন ধরে টানাপোড়েনের পর অবশেষে শেখ শাহজাহানকে সিবিআইয়ের হাতে হস্তান্তর করল সিআইডি। 

- স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর শেখ শাহজাহানকে নিয়ে ভবানীভবনে গেল সিআইডি। আর কিছুক্ষণের মধ্যেই সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হবে শেখ শাহজাহানকে।

- শেখ শাহজাহানকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে গেল সিআইডি। 

- নির্ধারিত সময়ে ভবানীভবনে পৌঁছে যায় সিবিআই। গোটা এলাকায় ছয়লাপ পুলিশ।  

- তৃণমূলের সাসপেন্ডেড নেতা শাহজাহান শেখকে সিবিআই হেফাজতেই তুলে দিতে হবে। বুধবার সকালে হাইকোর্টের নির্দেশই বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। তার পর দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ, বিকেল ৪টে ১৫ মিনিটে মধ্যে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে হবে শেখ শাহজাহানকে।  

মঙ্গলবার সাড়ে ৪টের মধ্যে শাহজাহানকে সিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। কিন্তু শাহজাহানকে হস্তান্তর করা হয়নি। বুধবার বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিল, বুধবার সওয়া ৪টের মধ্যে হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে হবে। প্রথমে সাড়ে ৪টের মধ্যে হস্তান্তরের কথা জানিয়েছিল আদালত। কিন্তু সিবিআই চেয়েছিল আরও ১৫ মিনিট এগিয়ে আনা হোক সময়। কারণ শাহজাহানকে হেফাজতে না পেলে সাড়ে ৪টের মধ্যে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারবে তারা। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে ৪টে ১৫ মিনিট সময়সীমা নির্দিষ্ট করে দেয় হাইকোর্ট। 

আদালতের নির্দেশের পরেও ধৃত শাহজাহান শেখকে নিজেদের হেফাজতে পায়নি সিবিআই। বুধবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে আইনজীবী বিরাজ ত্রিবেদী বলেন,'মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টের মধ্যে শাহজাহান শেখকে সিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করার নির্দেশ মানেনি রাজ্য পুলিশ'। 

Advertisement

বলে রাখি,হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার জরুরি ভিত্তিতে ওই মামলার শুনানির আর্জি জানায় তারা। তাতে সাড়া দেয়নি শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চ জানায়, আপাতত হাইকোর্টের নির্দেশই বহাল থাকবে। আবেদন শুনতে পারে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। দরকারে ওই বেঞ্চে আবেদন করুক রাজ্য।

এদিকে, হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ দিয়েছিল, ধৃত শাহজাহানকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হোক। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টে পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিলেন। সেই মতো শাহজাহানকে হেফাজতে নিতে ভবানী ভবনে পৌঁছন সিবিআই আধিকারিকরা। কিন্তু শাহজাহানকে হাতে পাননি তাঁরা। সিআইডি-র যুক্তি ছিল, রাজ্য সরকার হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে গিয়েছে। তাই হস্তান্তর সম্ভব নয়।

গত ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতির তদন্তে সন্দেশখালির সরবেড়িয়ায় শাহজাহানের বাড়িতে হানা দিয়েছিলেন ইডি আধিকারিকরা। তাঁদের উপর চড়াও হয় শাহজাহানের বাহিনী। চলে মারধর। হাসপাতালে ভর্তি হন ৩ তদন্তকারী। তাঁদের কাছ থেকে ফোন, ল্যাপটপ এবং নগদ টাকা কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এরপর শেখ শাহজাহান ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে ওঠে একাধিক অভিযোগ। সন্দেশখালির মহিলারা অভিযোগ করেন, তাঁদের জমি দখল করে ভেড়ি করেছে শেখ শাহজাহানরা। মহিলাদের রাতে ডেকে পাঠানো হত পার্টি অফিসে। কিন্তু ৫ জানুয়ারির পর থেকেই অধরা ছিল শেখ শাহাজাহান। চাপ বাড়তে থাকে প্রশাসনের উপর। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি মিনাখাঁ থেকে শাহজাহানকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশ। তার পরই ৬ বছরের জন্য তাঁকে সাসপেন্ড করে তৃণমূল। 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement