সম্প্রতি প্রাথমিকের টেট সম্পন্ন হয়েছে। এবার রাজ্যের কলেজগুলিতে শিক্ষক এবং গবেষক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করতে চলেছে কলেজ সার্ভিস কমিশন। আগামী ৮ জানুয়ারি হবে স্টেট লেভেল এলিজিবিলিটি টেস্ট (স্লেট)। পরীক্ষার আয়োজনের জন্য ইতিমধ্যেই তৎপরতা শুরু হয়ে গেছে।
মোট ৩৩টি বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়া হবে। কলেজ সার্ভির কমিশনের পক্ষ থেকে যে নির্দেশনামা দেওয়া হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, যে সমস্ত প্রার্থীরা স্নাতকোত্তর স্তরে কমপক্ষে ৫৫ শতাংশ নম্বর নিয়ে পাশ করেছেন, তাঁরা পরীক্ষায় বসতে পারবেন।
২০২৩ সালের ৮ জানুয়ারি, রবিবার এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। মোট দুটি পত্রে পরীক্ষা হবে। একটি পত্রে থাকবে ১০০ নম্বরের প্রশ্ন। সকাল সাড়ে দশটা থেকে সাড়ে এগারোটার মধ্যে এই প্রথম পত্রের পরীক্ষা হবে। এ ছাড়া দ্বিতীয় পত্র শুরু হবে বেলা ১২টা থেকে। সেই পত্রের পূর্ণমান থাকবে ২০০। মোট সময় পাওয়া যাবে দু-ঘণ্টা। অর্থাৎ ১২টা থেকে দুটো পর্যন্ত। দুটি পরীক্ষার পত্রেই থাকবে অবজেক্টিভ টাইপ প্রশ্ন। প্রতিটি প্রশ্নের পূর্ণমান থাকবে ২ করে।
এবারের পরীক্ষায় বসবেন প্রায় ৮৫ হাজার পরীক্ষার্থী। মোট ১১০টি কেন্দ্রে এই পরীক্ষা নেওয়া হবে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে পরীক্ষাকেন্দ্র হিসাবে বেছে নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রার এবং কলেজে অধ্যক্ষ পরীক্ষাকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকবেন। কমিশনের তরফে দু’জন করে অধ্যাপককে পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষার সুষ্ঠু প্রস্তুতিতে মোট ২২০ জনকে নিয়োগ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। অধ্যাপক ও সহযোগী অধ্যাপকদের এই কাজে নিয়োগ করা হবে।
পরীক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যদের নেতৃত্বেই পরীক্ষা প্রক্রিয়া চলবে। প্রশ্নপত্র খোলা, বিতরণ— সবই নির্দিষ্ট আধিকারিকদের তত্ত্বাবধানে হবে। পরীক্ষা শুরুর আগে কোনও ভাবেই প্রশ্নপত্র যাতে ফাঁস না হয়ে যায়, সে বিষয়ে বিশেষ নজরদারি থাকবে।
কলেজ সার্ভিস কমিশনের পাশাপাশি ইউজিসিরও পর্যবেক্ষক থাকবেন এই নিয়োগ পরীক্ষায়। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, ইউজিসির নির্দেশিকা মেনেই সমস্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও পুলিশ-প্রশাসনের সাহায্য নেওয়া হতে পারে।
আরও পড়ুন- মারাদোনা-মেসির পোস্টারে ছয়লাপ গাঙ্গুলিবাগান, ফুটবল পায়ে উচ্ছ্বাস সমর্থকদের