৮০ বছর বয়সে প্রয়াত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য (Buddhadeb Bhattacharjee)। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর প্রয়ানের দিনে স্মৃতিতে ডুব দিলেন ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) ক্লাবের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার। মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন যখনই তাঁর সাহায্য চেয়েছেন তখনই পেয়েছেন। এমনটাই জানিয়েছেন লাল-হলুদ কর্তা।
গ্যালারি সংস্কারে সাহায্য করেছিলেন বুদ্ধদেব
ইস্টবেঙ্গলের গ্যালারি সংস্কার করার জন্য সাহায্য করেছিলেন বামফ্রন্টের বেশ কয়েকজন নেতা। সেই তালিকায় ছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। ইস্টবেঙ্গলের নতুন গ্যালারির ক্ষেত্রে অবদান রেখেছেন প্রয়াত প্রাক্তন ক্রীড়ামন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তী, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অসীম দাসগুপ্ত। bangla.aajtak.in-কে দেবব্রত সরকার বলেন, 'আমাদের কখনও ফেরাননি বুদ্ধবাবু। খুব যে দেখা হত তেমনটা নয়। আসলে তাঁর কাছে আমাদের যেতেই হত না। যখন যা দরকার সুভাষ দা (সুভাষ চক্রবর্তী) কে বললেই কাজ হয়ে যেত। গ্যালারি গড়ার ক্ষেত্রেও বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন।' পাশাপাশি ২০০৩ সালে যখন ইস্টবেঙ্গল আশিয়ান চ্যাম্পিয়ন হয় সেই সময়ও অনেক সাহায্য করেছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। এমনটাই জানিয়েছেন দেবব্রত।
ইস্টবেঙ্গল শীর্ষকর্তা আরও বলেন, 'আমাদের যে কোনও দরকারে আমরা সাহায্য পেয়েছি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে। আসলে গোটা বিশ্বেই খেলাধুলোর সঙ্গে সরকারের ভাল সম্পর্ক থাকা জরুরি। না হলে খেলাধুলোর উন্নতি কোথাও সম্ভব নয়। আর সেটাই হয়েছে সেই সময়ও। আমাদের সঙ্গে সম্পর্ক সবসময় ভাল ছিল।' শুধু তাই নয়,আশিয়ান জয়ের পরে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সঙ্গে সম্পর্ক আরও ভাল হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের। সেই সম্পর্ক অটুট থেকেছে শেষ অবধি।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর মৃত্যুতে শোকের ছায়া গোটা রাজ্যজুড়ে। পূর্নদিবস ছুটির ঘোষনা করেছে রাজ্য সরকারের। সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় হবে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শেষ কৃত্য। বাড়িতে গিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর ভারাক্রান্ত ভাবে এ কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।