Advertisement

CV Ananda Bose Statue: রাজভবনে নিজের মূর্তি উন্মোচনে বোস, সমালোচনায় এককাট্টা TMC-কংগ্রেস-বামেরা

শনিবার, ২৩ নভেম্বর রাজভবনে বসল রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের মূর্তি। দুবছর আগে এই দিনেই রাজ্যপালের দায়িত্ব নিয়েছিলেন আনন্দ বোস। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হিসেবে ২৩ নভেম্বর অর্থাৎ শনিবার ২ বছর পূর্ণ করলেন সিভি আনন্দ বোস ৷ সেই উপলক্ষে শনিবার সকালে রাজভবনে মূর্তির আনুষ্ঠানিক উন্মোচন করেন স্বয়ং রাজ্যপাল ৷ শনিবার সকাল ১০টা নাগাদ চারাগাছ রোপণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয় । তারপরে চিত্র প্রদর্শনী এবং বসে আঁকো প্রতিযোগিতার সূচনাতে এই মূর্তির অনুষ্ঠানিক উন্মোচন করা হয়।

রাজভবনে রাজ্যপালের মূর্তি
অনির্বাণ সিংহ রায়
  • কলকাতা,
  • 24 Nov 2024,
  • अपडेटेड 7:52 AM IST

শনিবার, ২৩ নভেম্বর রাজভবনে বসল রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের মূর্তি। দুবছর আগে এই দিনেই রাজ্যপালের দায়িত্ব নিয়েছিলেন আনন্দ বোস। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হিসেবে ২৩ নভেম্বর অর্থাৎ শনিবার ২ বছর পূর্ণ করলেন সিভি আনন্দ বোস ৷ সেই উপলক্ষে শনিবার  সকালে রাজভবনে মূর্তির আনুষ্ঠানিক উন্মোচন করেন স্বয়ং রাজ্যপাল ৷ শনিবার সকাল ১০টা নাগাদ চারাগাছ রোপণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয় । তারপরে চিত্র প্রদর্শনী এবং বসে আঁকো প্রতিযোগিতার সূচনাতে এই মূর্তির অনুষ্ঠানিক উন্মোচন করা হয়।

 ভারতীয় জাদুঘরের শিল্পী পার্থ সাহা এক সপ্তাহ ধরে এই মূর্তি তৈরি করেছেন । মূলত, ফাইবার দিয়ে তৈরি করা হয়েছে এই মূর্তি ৷ রাজ্যপালকে সরাসরি না-দেখে শুধুমাত্র ছবি দেখে মূর্তিটি তৈরি করেন শিল্পী পার্থ সাহা। এদিকে, এই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়েছে । কোনও ব্যক্তি জীবিত থাকাকালীন তাঁর মূর্তি কীভাবে প্রতিষ্ঠিত করা যায়, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বাংলার শাসক দল, তৃণমূলের মুখপাত্র জয়প্রকাশ মজুমদার  বিষয়টির নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, "একটি ঘটনা আজ বাংলায় ঘটেছে,  আমাদের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস তার নিজের মূর্তি উদ্বোধন করেছেন। তিনি এটি করেছেন কারণ তিনি প্রচার চেয়েছিলেন। কিন্তু কথা হচ্ছে তার নিজের মূর্তিতেই তিনি মালা অর্পণ করবেন? এই মেগালোম্যানিয়াকের লক্ষণ।" 

রাজ্যপালের মূর্তি উন্মোচন নিয়ে কংগ্রেস মুখপাত্র সৌম্য আইচ রায় বলেন, "এটা খুব লজ্জার বিষয় । বাংলার কৃষ্টি-সংস্কৃতি নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে । উনি যে দলের থেকে প্রতিনিধি হয়ে রাজ্যপাল হয়েছেন বা যে দল তাঁকে রাজ্যপাল হিসেবে পাঠিয়েছে, সেই দলের অন্যতম নেতা প্রধানমন্ত্রী নিজের নামেই স্টেডিয়াম তৈরি করেছেন । স্বাভাবিকভাবেই, উনি সেই প্রধানমন্ত্রীকে অনুসরণ করছেন । এছাড়া আর কী বলতে পারি ! দারুণ লজ্জার বিষয় ৷" অন্যদিকে, সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, "এটি একটি অপগণ্ড । রাজভবন আলো করে অপগণ্ড বসে আছেন । এটা আমাদের রাজ্যের পক্ষে দুর্ভাগ্যজনক । মোদী-মমতা-রাজ্যপাল সব নিজেকে ছাড়া কাউকে চেনেন না । এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক আমাদের রাজ্যের পক্ষে ৷ এছাড়া আর কী বলতে পারি অপগণ্ডকে নিয়ে !"

Advertisement

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement