Advertisement

East West Metro Underwater Tunnel: ২০২৩ সালেই ইস্টওয়েস্ট মেট্রো, গঙ্গার তলায় কতক্ষণ চলবে? রেল বলছে, 'চোখের পলকেই'

East West Metro Underwater Tunnel: ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো করিডোরের অংশ হিসাবে প্রায় ১২০ কোটি টাকা খরচ করে পশ্চিমবঙ্গের হুগলি নদীর তলায় ভারতের প্রথম ‘আন্ডার ওয়াটার টানেল’ নির্মিত হচ্ছে। নদীর নীচে প্রায় সাততলা বাড়ির সমান গভীরতায় তৈরি হয়েছে এই টানেল। নদীর গভীরে টানেলের দীর্ঘ্য ৫২০-মিটার।

নদীর নীচে প্রায় সাততলা বাড়ির সমান গভীরতায় তৈরি হয়েছে এই টানেল। নদীর গভীরে টানেলের দীর্ঘ্য ৫২০-মিটার।
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 30 Dec 2022,
  • अपडेटेड 3:02 PM IST
  • হুগলি নদীর তলায় ভারতের প্রথম ‘আন্ডার ওয়াটার টানেল’ নির্মিত হচ্ছে।
  • নদীর নীচে প্রায় সাততলা বাড়ির সমান গভীরতায় তৈরি হয়েছে এই টানেল।
  • নদীর গভীরে টানেলের দীর্ঘ্য ৫২০-মিটার।

East West Metro: ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো করিডোরের অংশ হিসাবে প্রায় ১২০ কোটি টাকা ব্যয়ে পশ্চিমবঙ্গের হুগলি নদীর তলায় ভারতের প্রথম ‘আন্ডার ওয়াটার টানেল’ নির্মিত হচ্ছে। ট্রেনগুলি গঙ্গা অতিক্রম করার সময় যাত্রীদের জন্য এটি একটি চোখ ধাঁধানো অভিজ্ঞতা হতে চলেছে। নদীর নীচে প্রায় সাততলা বাড়ির সমান গভীরতায় সাড়ে ৫ মিটার ব্যাসার্ধের বৃত্তাকার সুড়ঙ্গ দিয়ে ছুটবে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর রেক। নদীর গভীরে টানেলের মধ্যে দিয়ে মাত্র ৪৫ সেকেন্ডে ৫২০-মিটার দূরত্ব অতিক্রম করবে মেট্রোর রেক।

সুড়ঙ্গটি ইউরোস্টারের লন্ডন-প্যারিস করিডোরের ভারতীয় সংস্করণ। এই ‘আন্ডার ওয়াটার টানেল’ নদীর ১৩ মিটার গভীরে এবং ভূ-স্তর থেকে ৩৩ মিটার নীচে তৈরি করা হয়েছে। ৫২০-মিটার দীর্ঘ টানেলটি কলকাতার ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো করিডোরের অংশ। এটি পূর্বে সল্টলেক সেক্টর ফাইভের আইটি হাব থেকে নদীর ওপারে পশ্চিমে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত রুটের সংযোগ তৈরি করছে।

আরও পড়ুন: জোকা-তারাতলা মেট্রোরও যাত্রাশুরু, রুট-টাইম টেবিল-ভাড়া সহ বিস্তারিত

টানেলের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে এবং করিডোরে এসপ্ল্যানেড এবং শিয়ালদহের মধ্যে ২.৫ কিলোমিটার প্রসারিত হওয়ার পরে ডিসেম্বর ২০২৩ সালে এটি চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশনের জেনারেল ম্যানেজার (সিভিল) শৈলেশ কুমার বলেন, "ইস্ট-ওয়েস্ট করিডোরের জন্য টানেলটি অপরিহার্য এবং এটি গুরুত্বপূর্ণও ছিল। আবাসিক এলাকা এবং অন্যান্য প্রযুক্তিগত সমস্যাগুলির জন্য নদীর তলা দিয়ে সংযোগস্থাপনই সম্ভব ছিল।"

টানেলের ভেতরের দেয়ালগুলো উচ্চ-মানের M50 গ্রেডের রিইনফোর্সড কংক্রিট দিয়ে তৈরি, যার প্রতিটির পুরুত্ব ২৭৫ মিমি। এই ধরনের ছয়টি কাঠামো সুড়ঙ্গের ব্যাসের ভেতরের আস্তরণকে শক্তিশালী করতে ব্যবহৃত হয়েছে। সুড়ঙ্গে ছিদ্র প্রতিরোধ করার জন্য এবং কাঠামোর মধ্যে নদীর জল প্রবেশ করা থেকে রক্ষা করার জন্য বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছিল৷ জলের প্রবেশ কমানোর জন্য অত্যন্ত সুরক্ষিত কংক্রিট মিশ্রণ ব্যবহার করা হয়েছে৷ সেগমেন্টগুলি এবং টানেল বোরিং মেশিনের ঢালের মধ্যে স্থান পূরণ করতে একটি পরিশীলিত গ্রাউটিং প্রক্রিয়া ব্যবহার করে সিল করা হয়েছে।
ন্যাশনাল ফায়ার প্রোটেকশন অ্যাসোসিয়েশন (NFPA) নির্দেশিকা অনুসারে খালি করার জন্য দুটি ৭৬০-মিটার ইমার্জেন্সি শ্যাফ্ট বসানো হয়েছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: হাওড়া-NJP বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের বুকিং শুরু IRCTC-তে, কত ভাড়া-টাইম টেবিল বিস্তারিত

হাওড়া এবং শিয়ালদহকে সংযোগকারী মেট্রো লাইন দুটি পয়েন্টের মধ্যে যাতায়াতের সময় বর্তমানে সড়কপথে নেওয়া ৯০ মিনিট থেকে কমিয়ে ৪০ মিনিট করবে। এতে উভয় দিকে যানবাহন চলাচলও কমবে। কলকাতা মেট্রোর ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো করিডোর কয়েক বছর ধরে বেশ কিছুটা দেরি হয়েছে এবং এর ফলেই খরচও অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। এটি ২০০৯ সালে ৪,৮৭৫ কোটি টাকা খরচের প্রকল্পের অনুমোদন পেয়েছিল। যদিও, প্রকল্পের খরচের সরকারি হিসাব অনুমানিক ৮,৪৭৫ কোটি টাকা হয়েছে, যার মধ্যে ৮,৩৮৩ কোটি টাকা ইতিমধ্যেই ব্যয় করা হয়েছে।

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement