Mamata Banerjee Nupur Sharma:নূপুর শর্মা ইস্যুতে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নাম না করে বিজেপি নেত্রীর মন্তব্যের নিন্দা করেন তিনি। তাঁকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন মমতা। একই সঙ্গে মানুষের কাছে আবেদন করেছেন, যাতে সম্প্রীতি ঐক্য বজায় থাকে।
মমতার টুইট
বৃহস্পতিবার তিনি এ ব্যাপারে টুইট করেন। সেখানে মমতা লিখেছেন, আমি কিছু বিজেপি নেতাদের সাম্প্রতিক জঘন্য, নৃশংস হেটস্পিচে নিন্দা করি। যার ফলে শুধু হিংসাই ছড়ায় নি। দেশের ঐক্যের বুননও বিভাজিত হয়েছে। যার ফলে শান্তি ও বন্ধুত্বের মধ্যে বিঘ্ন ঘটেছে।
তিনি লিখেছেন, "আমি জোরালোভাবে বিজেপির অভিযুক্ত নেতাদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানাই। যাতে দেশের ঐক্য বিঘ্নিত না হয় এবং সাধারণ মানুষ মানসিক যন্ত্রণার সম্মুখীন না হয়।"
আরও পড়ুন: মাত্র ১০ মিনিটে ১৮৬ কোটি টাকা ঘরে তুললেন রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালা
আরও পড়ুন: এই সব কোম্পানিতে এলআইসি-র বিশাল লগ্নি, কোনটাতে সবথেকে বেশি?
আরও পড়ুন: গুগলের 'ভুল' ধরায় ইনাম ৬৫.৭৯ কোটি, ইন্দোরের অমন পাণ্ডে সবথেকে বেশি
মমতার আর্জি, "একই সঙ্গে, আমি আমার সমস্ত জাতি, ধর্ম, ধর্ম এবং সম্প্রদায়ের সকল ভাই ও বোনদের কাছে সাধারণ মানুষের বৃহত্তর স্বার্থে শান্তি বজায় রাখার জন্য আবেদন জানাচ্ছি। উস্কানি দেওয়া হয়েছে। আমরা তীব্র নিন্দা জানাই।"
বিতর্কের কেন্দ্রে নূপুর
দিন কয়েক আগে বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মা পয়গম্বর সম্পর্কে কিছু মন্তব্য করেন। যা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ভারতের অবস্থান নিয়েও প্রশ্ন করেছে। পরে বিজেপি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে নূপুর শর্মার বিরুদ্ধে।
আরব দেশগুলো সমালোচনায় সোচ্চার হয়েছে। আর তা কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার এবং বিজেপির চাপ বাড়িয়েছে। বিজেপি নেতাদের টিভি পর্দায় মুখ দেখানো বন্ধ করেছে বিজেপি। নূপুর শর্মা বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র ছিলেন।
তবে ওই মন্তব্যের পর তিনি সেই পদে আর নেই। তাঁর মন্তব্যের পর কানপুরের উত্তেজনা দেখা দেয়। রাস্তায় নামেন বহু মানুষ। এরপর পদক্ষেপ করে বিজেপি। দলের দিল্লি সভাপতি আদেশ গুপ্ত জানান, নূপুরকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে সরানো হচ্ছে। দল বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত হিন্দু কলেজ থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক করেছেন নূপুর। পরে তিনি আইনের ডিগ্রি অর্জন করেন। লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্স থেকেও আইনে স্নাতকোত্তর স্তরের পড়াশোনা করেছেন তিনি।
কলেজের সময় রাজনীতি শুরু করেন। এবিভিপি নেত্রী হিসেবে পরিচিত পান। সেটা ২০০৮ সালের ঘটনা। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সভানেত্রী হন তিনি।