জি-২০ প্রস্তুতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে থাকতে দিল্লি রওনা হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে এসএসকেএমে ভাঙচুরের ঘটনা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিলেন তিনি। মমতা বলেন,'সকালেই বিষয়টি সামলে দিয়েছি। তখন মাত্র দু'জন জুনিয়র ডাক্তার ছিল। ৪-৫ দিন আগে দুর্ঘটনা ঘটেছিল। কোনও যুবক মারা গেলে দুঃখ পাওয়া স্বাভাবিক। তবে এটা (ভাঙচুর, মারধর)করা উচিত হয়নি।'
মুখ্যমন্ত্রী এ দিন বলেন,'চিকিৎসকরা সবরকম চেষ্টা করেছেন। আমাদের ট্রমা সেন্টার সেরা। ৪-৫ দিন ধরে চেষ্টা করেছেন ডাক্তাররা। রাতের বেলায় মারা যাওয়ার পর ওরা হঠাৎ ঢুকে গিয়েছে। দুজন জুনিয়র ডাক্তারকে হেনস্থা করেছে। পিজির সুপারকে ফোন করে সরি বলেছি।'
পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ মমতা। তাঁর কথায়,'পুলিশকে বলেছি, যখন ওরা এল দেহ নিয়ে চলে গেল তখন তোমরা চলে গেলে কেন! তোমাদের তো স্থায়ী ক্যাম্প করতে বলা হয়েছে। তোমাদের তরফেও অবহেলা হয়েছে।' তাঁর সংযোজন,'পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জুনিয়র ডাক্তারদের নিরাপত্তা দেবে সরকার। রাতে সিনিয়র ডাক্তারেরও থাকা উচিত বলে মনে করি।'
রবিবার মধ্যরাতে এসএসকেএম ট্রমা কেয়ারে রোগীর মৃত্যুর পর ডেথ সার্টিফিকেট লেখাকে কেন্দ্র করে ডাক্তারদের সঙ্গে রোগীর আত্মীয়দের বচসা শুরু হয়। তার পর হাসপাতালে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছে মৃতের পরিজনদের বিরুদ্ধে। মারধর করা হয়েছে চিকিৎসকদেরও। মৃতের নাম মহম্মদ ইরফান। চুঁচুড়ার বাসিন্দা মহম্মদ ইরফানের মৃত্যুর শংসাপত্র লেখা নিয়েই বিবাদের সূত্রপাত। কর্তব্যরত ৪ জন চিকিৎসককে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ভাঙচুর চালানো হয় ট্রমা সেন্টারে।
মধ্যরাতে ভবানীপুর থেকে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই হামলার ঘটনায় হাসপাতালে তৈরি হয়েছে ক্ষোভ। অভিযুক্তদের গ্রেফতারির দাবি করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আরও পড়়ুন- দ্বিতীয় দফার পরীক্ষা গুজরাতে, ভোট দিলেন মোদী-শাহ