শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তৃণমূল বিধায়ক তথা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharya) গ্রেফতার করেছে ইডি (ED)। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, ধৃত মানিক ভট্টাচার্যর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে মিলেছে সন্দেহজনক নাম। 'আরকে' (RK) নামে সেভ করা রয়েছে সেটি। ওই সন্দেহজন ব্যক্তির সঙ্গে বার্তা আদানপ্রদানও হয়েছে মানিকের।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সোমবার সিজিও কমপ্লেক্সে মানিক ভট্টাচার্যকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। বয়ানে অসঙ্গতি ও তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে গভীর রাতে গ্রেফতার করা হয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতিকে। ইডির দাবি, মানিক ভট্টাচার্যের হোাটসঅ্যাপ চ্যাটের হিস্ট্রি উদ্ধার করা হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে আরকে বলে সেভ করা এক ব্যক্তির সঙ্গে বার্তা আদান প্রদান করেছেন মানিক। সেখানে নিয়োগের চূড়ান্ত তালিকা সংক্রান্ত কিছু কথোপকথনও হয়েছে বলে দাবি ইডির। চ্যাটে ফাইনাল অ্যাপ্রুভড তালিকার উল্লেখ রয়েছে, যাতে নাকি মান্যতা দিয়েছেন ডিডি (DD)। এক্ষেত্রে কে এই ডিডি, সেই প্রশ্নের উত্তরও খুঁজছেন তদন্তকারীরা। এছাড়াও মানিক ভট্টাচার্যেক গুগল ড্রাইভ সার্চ করেও এই ধরনের কারচুপি করা কিছু নথি পাওয়া গিয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ২৭ জুলাই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতিকে একটানা ১৪ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। যাদবপুরে তাঁর ২টি ফ্ল্যাটেও তল্লাশি চালানো হয়। সূত্রের খবর, তল্লাশিতে মানিকের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া সিডি-তে এমন ২৬৯ জন চাকরিপ্রার্থীর নাম ও তথ্য পাওয়া গিয়েছিল, যাঁদের বেআইনিভাবে ১ নম্বর করে বাড়তি দেওয়া হয়েছিল। এর আগে ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়-সহ ৮ জনের বিরুদ্ধে যে চার্জশিট ইডি তৈরি করে তাতেও মানিক ভট্টাচার্যের যোগসূত্রের কথা নাম উল্লেখ হয়েছে।
এদিকে মঙ্গলবার আদালত চত্বরে প্রবেশ করতেই মানিক ভট্টাচার্যকে ঘিরে উঠল ‘চোর চোর’ রব। পাশাপাশি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যানকে জুতো দেখিয়েও বিক্ষোভ প্রদর্শন হয়। এদিন শারীরিক পরীক্ষার পরে তাঁকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান উপস্থিত জনতা।
আরও পড়ুন - CU-তে সোনালির ফের নিয়োগ? হাইকোর্টের রায়ই বহাল সুপ্রিম কোর্টে