Advertisement

কামারহাটিতে পুকুরে উদ্ধার চিত্রশিল্পীর দেহ, বাড়িতে মৃত অবস্থায় পড়ে ভাই-বোন

কামারহাটির ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের বেলঘড়িয়া প্রিয়নাথ গুহ রোড এলাকার একটি আবাসনে একসঙ্গে থাকতেন তিন ভাইবোন সজল চৌধুরী, বিমল চৌধুরী ও রানু চৌধুরী। তাঁরা তিনজনেই ছিলেন অবিবাহিত। এর মধ্যে সজল চৌধুরী ছিলেন চিত্রশিল্পী। পাড়ার বাচ্চাদের আঁকাও শেখাতেন তিনি। 

প্রতীকী ছবি
Aajtak Bangla
  • কামারহাটি,
  • 10 Jan 2023,
  • अपडेटेड 3:45 PM IST
  • পুকুরে উদ্ধার শিল্পীর দেহ
  • ভাই ও বোনের দেহ মিলল বাড়িতে
  • তদন্তে নেমেছে বেলঘরিয়া থানা

পাড়ার পুকুরে ভাসছে চিত্রশিল্পীর মৃত দেহ। বাড়িতে উদ্ধার তাঁর ভাই ও বোনের দেহও। ঘটনার জেরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল উত্তর ২৪ পরগনার কামারহাটি পৌরসভা ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে। ইতিমধ্যেই দেহগুলিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। ভাই ও বোনকে খুন করার পরেই পুকুরে গিয়ে ওই শিল্পী আত্মঘাতী হয়েছেন বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। ঘটনার নেপথ্যে আর্থিক সঙ্কট বা অন্য কোনও বিষয় জড়িয়ে রয়েছে কিনা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, কামারহাটির ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের বেলঘড়িয়া প্রিয়নাথ গুহ রোড এলাকার একটি আবাসনে একসঙ্গে থাকতেন তিন ভাইবোন সজল চৌধুরী, বিমল চৌধুরী ও রানু চৌধুরী। তাঁরা তিনজনেই ছিলেন অবিবাহিত। এর মধ্যে সজল চৌধুরী ছিলেন চিত্রশিল্পী। পাড়ার বাচ্চাদের আঁকাও শেখাতেন তিনি। 

মঙ্গলবার সকালে হঠাৎ পাড়ার পুকুরে একটি দেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রথমে তাঁরা বুঝতে পারেননি দেহটি কার। পরে ভাল করে দেখলে তাঁরা বুঝতে পারেন যে দেহটি এলাকারই আঁকার শিক্ষক সজল চৌধুরীর। সঙ্গে সঙ্গে খবর যায় পুলিশে। বেলঘরিয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে। এরপর মৃতের সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে তাঁর বাড়িতে পৌঁছান পুলিশ আধিকারিকরা। কিন্তু সেখনে গিয়ে দীর্ঘক্ষণ ডাকাডকির পরেও কারও সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। যা দেহে সন্দেহ হয় পুলিশের। এরপর পুলিশ দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে দেখে, শোওয়ার ঘরে খাটের ওপর পড়ে রয়েছে আরও দুটি দেহ। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দেহ দুটি বিমল চৌধুরী ও রানু চৌধুরীর। এর মধ্যে রানু চৌধুরীর মানসিক সমস্যা ছিল বলেও জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। এরপর সেই দেহগুলিও উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ।

ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, বিমল ও রানুকে শ্বাসরোধ করে খুন করার পর পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন সজলবাবু। তবে ঠিক কী কারণে এই ঘটনা তা এখনও স্পষ্ট হয়। সেক্ষেত্রে চৌধুরী পরিবারের আর্থিক অবস্থা এবং বাজারে তাদের কোনও দেনা ছিল কিনা সেইদিকগুলি খয়ি দেখছেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা।

Advertisement

আরও পড়ুন - উচ্চমাধ্যমিকের সেন্টার নিয়ে বড় খবর, একাধিক নিয়মেও পরিবর্তন সংসদের

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement