নগদ টাকা উদ্ধারের ঘটনা যেন থামছেই না রাজ্যে। কলকাতা-সংলগ্ন শহরতলিতে একের পর এক টাকা উদ্ধারের ঘটনা ঘটেই চলেছে। টালিগঞ্জ, বেলঘরিয়া, গার্ডেনরিচ, মালদার পরে এবার খড়দায়। এক অধ্যাপকের ফ্ল্যাটে মিলল প্রায় ৩২ লক্ষ টাকা। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের অভিযানে মিলেছে নগদ ৩২ লক্ষ নগদ।
পুলিশের অনুমান, ওই বান্ডিলের পাহাড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির করিয়ে দেওয়ার বিনিময়ে কমিশনে নেওয়া টাকার। গতকাল রাত থেকে খড়দায় পুলিশ একের পর এক তল্লাশি চালায়। আর তাতেই খোঁজ মেলে ওই টাকার।
পুলিশ সূত্রে খবর, খড়দহের নাথুপাল ঘাট রোড এলাকায় বৃহস্পতিবার রাত থেকে এক অধ্যাপকের বাড়িতে চিরুনি তল্লাশি চালানো হয়। ওই অধ্যাপককে জিজ্ঞাসাবাদ করেন ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটর গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিক এবং খড়দহ থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন: অর্পিতার বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে টাকার 'খনি', গুণতে হবে সারারাত!
জানা যাচ্ছে, ওই অধ্যাপকের নাম অমিতাভ দাস। তিনি খড়দহ নাথুপাল ঘাট রোড এলাকায় শিরোমণি আবাসনের একতলার বাসিন্দা। তাঁর ঘরেই টানা তল্লাশি চালান ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারের গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিক এবং খড়দহ থানার পুলিশ। প্রতিবেশীদের দাবি, অমিতাভ পেশায় অধ্যাপক। তিনি, তাঁর স্ত্রী বর্ণালী সাধুখাঁ এবং এক সন্তান থাকেন ওই ফ্ল্যাটে। গত আড়াই বছর ধরে সেখানে বসবাস করছেন তাঁরা। সেই অধ্যাপকের বাড়ি থেকেই বিপুল টাকা উদ্ধারে অবাক এলাকার লোকজন।
উল্লেখ্য, টাকা উদ্ধারের ধারাবাহিকতা শুরু হয় পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতার বেলঘরিয়া ও টালিগঞ্জের ফ্ল্যাট থেকে টাকা উদ্ধারের পর। অর্পিতার বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় বস্তা বস্তা ৫০০ এবং ২০০০ টাকার নোট, সোনা, রুপোর কয়েন, কিছু জমির দলিল ও গুরুত্বপূর্ণ নথি।
আগেই অর্পিতার টালিগঞ্জের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় ২২ কোটি টাকা। এরপর অর্পিতার বেলঘরিয়ায় ২০ কোটির হদিশ মেলে! তারপর থেকেই একাধিক দুর্নীতি প্রকাশ্যে চলে আসে। শুরু হয়ে যায় একাধিক জায়গায় তল্লাশি।
আরও পড়ুন-'অপারেশন থিয়েটারে কে যেন গোপনাঙ্গে হাত দিচ্ছে,' বিস্ফোরক অভিযোগ কলকাতার নামী প্রাইভেট হাসপাতালে