ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক (ISF MLA) নওশাদ সিদ্দিকীর (Naushad Siddiqui) মুক্তির দাবি ক্রমশই জোরালো হচ্ছে। আজ কলকাতায় মিছিলের ডাক নাগরিক মঞ্চের। শিয়ালদা থেকে ধর্মতলা পৌঁছবে সেই মিছিল। অন্যদিকে নওশাদের মুক্তির দাবিতে ঘটকপুকুরে বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে একজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। আহত হয়েছেন এক পুলিশ কর্মীও। এলাকায় ছড়িয়েছে উত্তেজনা।
জানা গিয়েছে, আজ বাসন্তী হাইওয়ের ধারে ঘটকপুকুর মোড়ে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন এক আইএসএফ সমর্থক। বিক্ষোভকারী ওই আইএসএফ সমর্থকের নাম আবদুল বসির মিস্ত্রি। তাঁর হাতের প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল 'ভাইজানের মুক্তি চাই'। একইসঙ্গে হাতে সিরিঞ্জ নিয়ে আত্মহত্যারও হুমকি দিচ্ছিলেন তিনি। খবর পেয়ে ভাঙড় থানার আইসির নেৃতত্বে পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
অভিযোগ, ওই বিক্ষোভকারী আইএসএফ সমর্থককে আটক করতে গেলে হাতের সিরিঞ্জ নিয়ে এক পুলিশ কর্মীকে তিনি আঘাত করেন। তাতে আঙত হন ওই পুলিশ কর্মী এরপর গ্রেফতার করা হয় ওই আইএসএফ সমর্থককে। ওই আইএসএফ সমর্থক কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে আহত পুলিশ কর্মীকে চিকিৎসার জন্য কলকাতার চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার দলীয় পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে ভাঙড়ের হাতিশালায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল (TMC) ও আইএসএফ (ISF) কর্মীরা। সেই গন্ডগোলের আঁচ পড়ে শহর কলকাতাতেও। ওইদিন বিকেলেই কলকাতার ধর্মতলায় পুলিশের সঙ্গে কার্যত খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয় আইএসএফ কর্মীদের। পুলিশকর্মীদেরও মারধরের অভিযোগ ওঠে আইএসএফ কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে। পাল্টা চলে ব্যাপক পুলিশি ধরপাকড়। সেই গন্ডগোলের জেরেই গ্রেফতার করা হয় আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকী-সহ বেশ কয়েকজনকে। যার মধ্যে রয়েছে এক নাবালকও। আদালতে তোলা হলে নওশাদকে পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। সেই ঘটনার পর থেকেই ক্রমশ চড়ছে রাজনৈতিক উত্তেজনার পারদ। ইতিমধ্যেই গতকাল নওশাদ সিদ্দিকীর সঙ্গে দেখা করেছেন ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা কাশেম সিদ্দিকী। লাগাতার নওশাদের মুক্তির দাবিও তুলছেন আইএসএফ সমর্থকেরা।
আরও পড়ুন - শনির উদয়ে তৈরি হচ্ছে রাজযোগ, ৪ রাশির কপাল ফিরবে রাতারাতি