এসএসসি দুর্নীতি কাণ্ড নাটকীয় মোড় নিল বুধবার রাতে। তথ্যপ্রমাণ নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় কলকাতা হাইকোর্টের মধ্যরাতে শুনানি হল। আজ, বৃহস্পতিবার (১৯ মে) দুপুর বারোটার মধ্যে এসএসসির সচিবকে সিসিটিভি ফুটেজ জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তথ্যপ্রমাণ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা
বেলা ১২টার মধ্যে এর পাশাপাশি এসএসসি অফিসের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে সিআরপিএফ। সেখানে আজ, বৃহস্পতিবার (১৯ মে) দুপুর একটা পর্যন্ত কেউ ঢুকতে পারবে না। এদিন গভীর রাতে এই নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্ট বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বুধবার রাত সাড়ে ১২টার মধ্যে সেখানে সিআরপিএফ মোতায়েন করতে হবে।
তথ্য-প্রমাণ নষ্ট হয়ে যেতে পারে আশঙ্কা করে এসএসসি প্রার্থীদের একাংশ আদালতের দ্বারস্থ হয়। তারপর এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন এসএসসির চেয়ারম্যান ইস্তফা দিয়েছেন। তারপর কারা সেই অফিসে? তার ফুটেজ জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এসএসসি সচিবকে সেই ফুটেজ জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: পঞ্জাবের প্রিয় 'সর্ষো দা শাগ' পুষ্টিগুণে ভরপুর, ভাল রাখে চুল-ত্বক
আরও পড়ুন: এসএমএস হেডার, প্রতারণার নয়া ছক, বাঁচবেন যেভাবে...
আরও পড়ুন: শুধু প্রধানমন্ত্রী পান এসপিজি নিরাপত্তা, দৈনিক খরচ ১.১৭ কোটি টাকা
বুধবার কলকাতায় সিবিআই দফতর নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী, বর্তমান শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁকে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পাশাপাশি এসএসসির ৪ প্রাক্তন এবং এখনকার কর্তা সিবিআই অফিসারদের কাছে হাজিরা দিয়েছে।
বামেদের তোপ
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে অভিযুক্ত মন্ত্রীদের বরখাস্ত করার দাবি তুলল বামফ্রন্ট। এর পাশাপাশি এই ইস্যুতে রাজ্যে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে তারা। বুধবার এক বিবৃতিতে এই কথা জানিয়েছে তারা। অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি তুলেছে ফ্রন্ট।
এদিকে, এদিন শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির প্রতিবাদে তৃণমূল নেতাদের গ্রেফতারের দাবি পথে নেমেছিল এসএফআই। কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় 'পরেশ অধিকারী কোথায়?' কর্মসূচি নিয়েছিল।
অভিযুক্ত পার্থ-নাম জড়িয়ে পরেশের
এসএসসি মামলায় নাম জড়িয়েছে রাজ্যের তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী, রাজ্যের এখনকার শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং শিক্ষা দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী পরেশ অধিকারী। এদিন পার্থবাবু কলকাতায় নিজাম প্যালেসে সিবিআই অফিসার হাজিরা দেন। তাকে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই অফিসাররা।
শুভেন্দুর দাবি
এদিন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, এটার জন্য আর মনে হয় না কোনও তদন্তের প্রয়োজন আছে। এরপর কোর্ট কী করবে, এজেন্সি কী করবে, সেটা আমার বিষয় নয়। আমি একজন রাজনৈতিক কর্মী, বিরোধী দলনেতা হিসেবে আমি বলতে পারি না, তারা কী করবে। তারা তাদের লাইনে আইন দেখে করবে
তাঁর আরও দাবি, তবে সাধারণ ভাবে, রাজ্য বিধানসভার একজন সদস্য হিসেবে আমি, আপনারাও দিনের আলোর মতো পরিষ্কার, এই যে দুর্নীতি, সেই দুর্নীতির মূলাধারের নাম হচ্ছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী। এবারে কান টানলে মাথা আসবে। তিনি যোগ করেন, পার্থবাবু কাদের কাদের সুপারিশে এই যে আটশো-হাজার চাকরি দিয়েছেন, পার্থবাবুকে বলতে হবে।