Suvendu Adhikari and Biman Banerjee: বিধানসভা প্রবেশের অনুমতি চেয়ে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি অধ্যক্ষের কাছে চিঠি লিখেছেন, যাতে তিনি বিধানসভায় ঢুকতে পারেন। কারণ স্পিকার বিধানসভায় তাঁর প্রবেশের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছেন।
২২ এপ্রিল শুনানি
যেহেতু ২২ এপ্রিল স্পিকারের সামনে শুনানির একটি বিষয় রয়েছে। তাই তিনি বিধানসভার ঢোকার অনুমতি চেয়েছেন। এবং তিনি চিঠি দিয়েছেন।
বাজেট অধিবেশনে গোলমাল
২০২২ সালের রাজ্যে বাজেট অধিবেশন চলার সময় বিধানসভার ভেতরে বিজেপি এবং টিএমসি বিধায়কদের মধ্যে বাকবিতন্ডার সময় স্পিকার শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপির চিফ হুইপ মনোজ টিগা-সহ বিজেপির ৫ জন বিধায়ককে বরখাস্ত করেছিলেন।
বিধানসভায় BJP ও TMC-র বিধায়কদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনায় সাসপেন্ড করা হয়েছিল ৫ বিধায়ক। বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ৫ BJP বিধায়ককে সাসপন্ড করেন। তাঁরা হলেন শুভেন্দু অধিকারী, মনোজ টিগ্গা, নরহরি মাহাতো, শঙ্কর ঘোষ ও দীপক বর্মন।
বিধানসভায় দুই দলের বিধায়কদের হাতাহাতির ঘটনার ভিডিও সামনে এসেছিল। রামপুরহাট কাণ্ড নিয়ে উত্তাল হয়ে উঠেছিল বিধানসভা। BJP বিধায়করা ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। মহিলা বিধায়কদের সঙ্গেও হাতাহাতি হয় বলে অভিযোগ।
চলে দু'পক্ষের ধস্তাধস্তি, জামা ছেঁড়া, ঘুষি মারারও ঘটনা। তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারের নাক ফেটে যায় বলে অভিযোগ উঠেছিল। আক্রান্ত হন BJP-র একাধিক বিধায়কও। দাবি তাঁদের।
আরও পড়ুন: টুইটারে এবার বড়সড় পোস্ট করা যাবে? সম্ভাবনা তেমনই
ফিরহাদ দাবি করেন
ফিরহাদ হাকিমের অভিযোগ করেছিলেন, 'BJP বিধায়করা নিয়মিত বিধানসভা অধিবেশনে বিঘ্ন ঘটাচ্ছেন। এদিন তাঁরা মার্শালদের ওেপরও হামলা করেছেন। এমনকী আমাদের বিধায়কদেরও মারধর করেছেন।
বিরোধী দলনেতার পাল্টা দাবি
শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ করেছিলেন, তাঁরা ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখানোর সময় শাসকদলের বিধায়করা আক্রমণ করেন তাঁদের ওপর। আরও অভিযোগ করেন তিনি।
তাঁর কথায়, 'বিধানসভায় বিরোধীদের কোনও জায়গা নেই। আমাদের কথা বলতে দেওয়া হয় না। যে সব তৃণমূল বিধায়করা রাজ্য ভোট পরবর্তী হিংসার জন্য দায়ী, তাঁরাই এই হামলা চালিয়েছেন। আমাদের দলের একাধিক বিধায়ককে কিল-ঘুষি মারা হয়েছে। তোলামূল দলে যোগ না দিলে এভাবেই আক্রমণ করা হবে। এটা আমরা বুঝে গিয়েছি।'