কয়লাকাণ্ডে ইডি সমনের স্থগিতাদেশ চেয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। চলতি মাসের ২১ তারিখ দিল্লির অফিসে ফের হাজিরার নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এর আগেও এই মামলায় দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়েছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সেখানে গিয়ে তদন্তকারীদের মুখোমুখি হন তিনি। অভিষেককে ৮ ঘণ্টারও বেশি সময় জিজ্ঞাসাবাদ করেন গোয়েন্দারা। ED সূত্রে খবর, সেদিন অভিষেকের অনেক জবাবে তাঁরা সন্তষ্ট হতে পারেননি। সেই কারণে ফের জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন। অভিষেকের আগে তাঁর স্ত্রী রুজিরা নারুলা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছিল। তবে তিনি হাজিরা দেননি। কলকাতায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক, এই আবেদন জানিয়েছিলেন তদন্তকারীদের কাছে।
সূত্রের খবর, জিজ্ঞাসাবাদে তদন্তকারীরা অভিষেকের পরিবারের দুই সদস্যের নামে পরিচালিত কোম্পানির অ্যাকাউন্টে কোথা থেকে টাকা এসেছে, এই সংক্রান্ত প্রশ্ন জানতে চান। তবে অভিষেক তাঁর জবাবে সন্তুষ্ট করতে পারেননি গোয়েন্দাদের। ED সূত্রে খবর, Leaps and Bound PVT LTD এবং Leaps and Bound Management Services LLP নামে এই দুটি কোম্পানির অ্যাকাউন্টে ৪.৩৭ কোটি টাকা জমা পড়েছে। আর এই টাকা যার মাধ্যমে এসেছে সে কয়লাপাচার কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত বলে দাবি করা হচ্ছে। Leaps and Bound PVT LTD-এর অন্যতম ডিরেক্টর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাবা কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়। অপর কোম্পানিটির ডিরেক্টর রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়। ED সূত্রে আরও খবর, অভিষেকের স্ত্রীকেও দ্রুত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফের তলব করা হবে। চলতি মাসেই সেই তলবের সম্ভাবনা রয়েছে।
জামনগরে ইডি-র অফিস থেকে বেরিয়ে সেই সময়ে অভিষেক বলেছিলেন, ৯ ঘণ্টা ধরে আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আমার বয়ান লিখিত ভাবে নেওয়া হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ নেই। তাই সামনে আনতে পারছে না। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি চাপে রয়েছে। তারা কেন্দ্রের নির্দেশ পালন করছে। তবে বিজেপি যাই করুক, ২০২৪ সালে তাদের পরাজিত হতেই হবে। সেইসঙ্গে অভিষেক প্রশ্ন তুলেছেন, যাদের ক্যামেরার সামনে ঘুষ নিতে দেখা গেছে তাদের কেন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হচ্ছে না?