Tomato Price Hike: টমেটোর দাম চড়া। কলকাতা হোক বা রাজ্যের যে কোনও বাজার। একই ছবি দেশের বিভিন্ন অংশে। এ রাজ্যে আকাশছোঁয়া দামের কারণ ভিন রাজ্য থেকে আসে টমেটো। রাজ্যে যা টমেটো উৎপাদিত হয়, তা দিয়ে মাস ছয়েক চলে। আর বাকি সময়ের জন্য ভরসা অন্য রাজ্য। ফলে এই পরিস্থিত আরও কিছুদিন থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সরবরাহ যাতে ঠিকঠাক থাকে, সে ব্য়াপারে নজর রাখছে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে গঠিত রাজ্য সরকারের টাস্ক ফোর্স।
রাজ্যে যতটা উৎপাদিত হয়
ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, রাজ্যে যে টমেটো উৎপাদিত হয়, তা মে মাসের প্রথম দিকেই শেষ হয়ে যায়। টমেটোর চাষ হয় হয় শীতকালে। অক্টোবরের শেষদিকে শুরু হয় চাষ। নভেম্বর, ডিসেম্বরের প্রথম দিকে ফসল তোলা হয়। এপ্রিল মাস পর্যন্ত চলে যায়। আর বাকি সময় অন্য রাজ্যের ওপর ভরসা করতে হয়।
কিছুদিন আগেও কম দাম ছিল
দিন ২০ আগেও ১০-১৫ টাকা কেজি দরে টমেটো বিকিয়েছে। এখন বাংলার বাইরে থেকে আসছে। বেঙ্গালুরু, নাসিক, অরুণাচল প্রদেশ থেকে আসে। ওখানে যে ভাবে রেট হয়, সেখানের সঙ্গে বাংলার দামের কোনও সম্পর্ক নেই।
আরও পড়ুন: এনএসই-দুর্নীতি, CBI অভিযুক্ত 'যোগী' আনন্দ সুব্রক্ষ্মণ্যমকে গ্রেফতার করল
আরও পড়ুন: রাশিয়ার একগুচ্ছ সিনেমায় অভিনয় করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট, জানতেন?
আরও পড়ুন: কলকাতায় দোকান খুলছেন সেই MA English Chaiwali
ধরা যাক, সেখান থেকে ৫০ টাকা প্রতি কেজি হিসেবে পাঠাল। তার ১০ শতাংশ নষ্ট হয়। এরপর রয়েছে গাড়িভাড়া। পাইকারি বাজারে তার দাম হয়ে যায় ৬০ টাকা। সেখান থেকে খুচরো বাজারে ৭০ টাকা, ৮০ টাকা বা তার বেশি।
তাঁরা আরও জানাচ্ছেন, এই সময় টমেটোর দাম রাজ্যের কন্ট্রোলের বাইরে। ভিন রাজ্য থেকে যেভাবে আসবে, তার ওপর ঠিক করে দাম হয়। আলু, পিঁয়াজ ছাড়া কোনও সবজির রেকর্ড পাওয়া মুশকিল। আলু নির্দিষ্ট কয়েকটা জেলায় চাষ করা হয়। হুগলি, বর্ধমান, বাঁকুড়ার মতো জেলায় চাষ হয়। ফলে সে ব্য়াপারে তা জানা যায়।
তবে টমেটো বা অন্য সবজির চাষ সব জেলায় কম-বেশি হয়। কোথায় কতটা করেছে, জানা কষ্টকর। বাকি সবজির ব্য়াপারেও তেমন বলা যায় না। বাইরে থেকে আসছে টমেটো। সেখানে যেমন দাম হবে, সেই হিসেবে এখানে দাম।
এখন মানে এই সময়ে জুন থেকে অক্টোবর পর্যন্ত পুরোটাই বা নভেম্বরও কিছুটা সময়। এই ছ'মাস রাজ্যের বাইরে থেকে আসবে। দামের হিসেব নেই। টমেটো প্রধান সবজি না। সেটা হল আলু। দাম কম থাকলে মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত এককেজি টমেটো কিনে খেলেন। তবে এখন সামান্য কেনে। তা সে একশো গ্রামও হতে পারে। এত দাম দিয়ে কে আর কিনে খাবে?
টাস্ক ফোর্সের বক্তব্য
শুক্রবার মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে গঠিত টাস্ক ফোর্সের সদস্য, ফোরাম অফ ট্রেডার্স অর্গানাইজেশনের সাধারণ সম্পাদক রবীন্দ্রনাথ কোলে বলেন, "বাইরে থেকে বেশি আসে, সে জন্য দাম বেশি। কিছু দিন আগেও ২০ টাকা করে কেজি দামে নেওয়ার লোক ছিল না। এখন দামটা বেশি। বাজারে যাতে সাপ্লাই লাইন ঠিক থাকে, সেটা দেখছি।"