আজ, সোমবার আংশিক মেঘলা থাকবে কলকাতা (Kolkata)-র আকাশ। থাকছে বৃষ্টির সম্ভাবনা। আগামী কয়েকদিন একই ছবি থাকতে পারে। এর পাশাপাশি উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলাতেও বৃষ্টি হতে পারে। এমনই পূর্বাভাস দিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Alipore Regional Meteorological Department) জানিয়েছে, আজ, সোমবার (২৮ জুন) কলকাতা (Kolkata)-র আকাশ মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। সেইসঙ্গে বৃষ্টি অথবা বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আরও পড়ুন: AD Scientific Index-এ বাঙালি বিজ্ঞানী-গবেষক-অধ্যাপকদের জয়জয়কার!
রবিবার কলকাতা (Kolkata)-র সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। সর্বোচ্চ আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৯৩ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৬৬ শতাংশ।
আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় আগামী কয়েকদিন হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তর ২৪ পরগণা, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, পুরুলিয়ার মতো জেলায় টানা কয়েকদিন বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছেন তাঁরা।
একই অবস্থা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরবঙ্গেও। এমনই জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Alipore Regional Meteorological Department)। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার-সহ বাকি জেলাতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
দিন কয়েক আগে প্রবল বৃষ্টিতে ভেসেছিল কলকাতা। সেটা চলতি মাসের মাঝামাঝি। ১৬ জুন রাতভর বৃষ্টি হয়েছিল। ফলে যা আশঙ্কা করা হয়েছিল, তা-ই হয়েছিল।
জলবন্দি হয়ে পড়েছিল কলকাতার বিভিন্ন অংশ। ফের কয়েকদিন টানা বৃষ্টির কথা জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। ফলে মানুষের মনে ফের তৈরি হয়েছে শঙ্কা।
আবহাওয়া দফতর পরামর্শ দিয়েছিল, বাড়িতেই থাকুন। কারণ বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ১৬ জুনের বৃষ্টিতে কলকাতার বিভিন্ন এলাকা জলের তলায় চলে গিয়েছিল।
কলকাতার বালিগঞ্জ সার্কুলার রোড, লাউডন স্ট্রিট, সাদার্ন অ্যাভিনিউ, কসবা, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, ঠনঠনিয়া, কসবা, বেহালা, টালিগঞ্জের মতো জায়গায় জল জমে যায়।
জল জমে থাকা নিয়ে বেজায় নাজেহাল হয়েছিলেন কলকাতার মানুষ। এর পাশাপাশি একই ছবি বিভিন্ন জেলায়। বৃষ্টির ফলে বিভিন্ন জেলায় জল জমে গিয়েছিল। অনেক জায়গায় ধস নেমেছিল। যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রবল ভাবে প্রভাবিত হয়েছিল। দুর্বিষহ হয়ে উঠেছিল মানুষের জীবন।