Advertisement

Yogi Vs Firhad: বাংলার 'হিংসা'য় সরব যোগী, ধন্যবাদ শুভেন্দুর, গব্বর খোঁচা ফিরহাদের

রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদবের অভিযোগের জবাব দিতে গিয়ে বাংলাকে টেনে এনেছেন যোগী আদিত্যনাথ। সে রাজ্যে গিয়ে অখিলেশের সমর্থনে সভা করে এসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

শুভেন্দু অধিকারী, যোগী আদিত্য়নাথ ও ফিরহাদ হাকিম - ফাইল ছবি।
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 28 May 2022,
  • अपडेटेड 8:13 PM IST
  • বাংলার হিংসার প্রসঙ্গ টানলেন যোগী।
  • গব্বর সিং কটাক্ষ ফিরহাদের।
  • ধন্যবাদ শুভেন্দুর।

উত্তরপ্রদেশ বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সরব হয়েছেন যোগী আদিত্যনাথ। তার পাল্টা উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীকে 'গব্বর সিং' কটাক্ষে বিঁধেলন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন,'উত্তরপ্রদেশের গব্বর সিং যোগী। ওখানে কেউ ভয়ে কথা বলতে পারে না। রাজ্যের বিরোধীদের দু'বছর জেল খাটতে হয়। সাধারণ মানুষের যেমন কথা বলার অধিকার নেই। নিজের রাজনৈতিক অবস্থান জানারও অধিকার নেই। ওঁর মুখে এসব কথা মানায় না।'

রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদবের অভিযোগের জবাব দিতে গিয়ে বাংলাকে টেনে এনেছেন যোগী আদিত্যনাথ। সে রাজ্যে গিয়ে অখিলেশের সমর্থনে সভা করে এসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই প্রসঙ্গ তুলে শুক্রবার উত্তরপ্রদেশ বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন,'২০২২ সালে শান্তিপূর্ণভাবে বিধানসভা নির্বাচন হয়েছে। সব দলই নিজের মত প্রকাশ করতে পেরেছেন। এখানে সপার সমর্থনে বাংলা থেকে এক দিদি প্রচারে এসেছিলেন। যাঁর নিজের রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে পরে ব্যাপক হিংসা হয়েছিল। রাজ্যের ২৯৪টি আসনের মধ্যে ১৪২টি আসনেই হিংসার ঘটনা ঘটেছে। প্রভাবিত হয়েছিল ২৫ হাজার বুথে। শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছিলেন বিজেপির ১০ হাজার কর্মী। খুন হয়েছিলেন ৫৭ জন। ১২৩-র বেশি মহিলাদের সঙ্গে অমানবীয় অত্যাচার হয়েছিল। সাত হাজারের বেশি অভিযোগ।' যোগী আরও বলেন,'উত্তরপ্রদেশের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গের জনসংখ্যা অর্ধেক। তা সত্ত্বেও উত্তরপ্রদেশে নির্বাচনের আগে বা পরে কোনও হিংসার ঘটনা ঘটেনি। সুষ্ঠু আইনশৃঙ্খলার এটাই উদাহরণ।'

যোগীর মন্তব্যের সমর্থন করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি টুইট করেছেন,'পশ্চিমবঙ্গে ভোট পরবর্তী হিংসার কথা তুলে ধরার জন্য উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। পাশে দাঁড়ানোর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।'      


বাংলায় হারের জ্বালা থেকে যোগী এসব বলছেন বলে দাবি করেছেন ফিরহাদ। পকেটমার বলে নিশানাও করেছেন। কলকাতার মেয়রের কথায়,'বাস থেকে যখন পকেটমার পালায়, তখন নিজেই পকেটমার পকেটমার বলে চিৎকার করে। যোগীর অবস্থাও একই। বাংলায় দিদি সুশাসন স্থাপন করেছে। ধর্মের ভিত্তিতে ভোট করাতে পারেনি ওরা। উন্নয়নের নিরিখে এখানে ভোট হয়েছে। মানুষ উজাড় করে ভোট দিয়েছেন। বাংলার দিদির কাছে এসে কাজ শিখুন যোগী। ধর্মান্ধতার জিগির তুলে দেশটাকে পিছিয়ে দিচ্ছে। তোমাদের মুখে বড় বড় কথা? এন্টাউন্টারে মানুষ মারে। দাঙ্গা করে ভয় দেখিয়ে মানুষকে চুপ করিয়ে রাখছে। কে কী খাবে সেটা তুমি ঠিক করে দেবে? কে কী পড়বে তুমি ঠিক করে দেবে? আর তুমি বাংলাকে বদনাম করছ।'

Advertisement

আরও পড়ুন- বৃষ্টির সঙ্গে প্যাঁচপ্যাঁচে গরমও, তাপমাত্রা আরও বাড়ার পূর্বাভাস

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement