বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ। ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের চাকরি বাতিলের নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সোমবার বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করা হয়। এ দিন বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের বেঞ্চ জানাল, ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বহাল থাকবে অন্তর্বর্তী নির্দেশ।
মামলাটি কী? ২০১৬ সালে প্রাথমিক শিক্ষকের পদে নিয়োগ করা হয়েছিল মোট ৪২,৫০০ জনকে। এর মধ্যে প্রশিক্ষিত (ডিএলএড) ছিলেন ৬৫০০ জন। এই ৬৫০০ শিক্ষককে নিয়ে কোনও বিতর্ক নেই। গত শুক্রবার বাকি ৩৬ হাজার প্রশিক্ষণহীন প্রাথমিক শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি নির্দেশ দেন,নতুন করে ইন্টারভিউ নিতে পারে পর্ষদ। সেখানে এই চাকরিহারা শিক্ষকরাও সুযোগ পাবেন। পাশ করলে চাকরি ফিরে পাবেন। তার পর মামলাকারীদের আইনজীবী আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জানান, প্রশিক্ষণহীন প্রার্থীদের আসল সংখ্যা আসলে ৩০ হাজার ১৮৫। ৩৬ হাজার নয়। লেখায় ত্রুটি হয়েছিল।
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের চাকরি বাতিলের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে আদালতের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সোমবার বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে মঙ্গলবার মামলার শুনানি হয়। মঙ্গলবার বিচারপতি তালুকদার জানান,'একক বেঞ্চ তো আবার নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দিয়েছে। কাউকে তো নেকড়ের সামনে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয়নি। সমস্যা কোথায়?'
আরও পড়ুন- জিজ্ঞাসাবাদ করবে ED-CBI? অভিষেকের জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আর্জি খারিজ ডিভিশন বেঞ্চে
চাকরিহারাদের পক্ষে আইনজীবীরা যুক্তি দেন, আদালতের নির্দেশে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। সেই তদন্ত রিপোর্টে এখনও পর্যন্ত ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিলের করে সপক্ষে কোনও তথ্যপ্রমাণ উঠে আসেনি। চাকরিহারাদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগও দেয়নি আদালত। তাঁদের কথা না শুনেই চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সময়ের বিজ্ঞপ্তির কথা উল্লেখ করে আইনজীবীরা জানান,নিয়োগের ২ বছরের মধ্যে প্রশিক্ষণ নেওয়ার কথা বলা ছিল। সেই অনুযায়ীই অপ্রশিক্ষিত হিসাবে চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন তাঁরা। তাই আইনবিরুদ্ধ কিছুই ঘটেনি।