Hemoglobin Level Of Blood: ভারতে উদ্বেগজনক ভাবে বাড়ছে রক্তাল্পতার সমস্যা। পুরুষ ও মহিলা উভয়ের মধ্যেই কম-বেশি এই রোগ হয়। তবে মহিলারা বেশি আক্রান্ত হন। একে বলে অ্যানিমিয়া আমাদের দেহের সঠিক অনুপাতে সমস্ত ভিটামিন, খনিজ এবং পুষ্টি প্রয়োজন। তার অভাব হলে রক্তের মধ্যে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ স্বাভাবিকের থেকে নীচে নেমে যায়। তখনই সেটা রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়া তৈরি করে।
ভারতীয়দের মধ্যে বেশিরভাগ সময় পুষ্টির অভাব লক্ষ্য করা যায়। তাদের মধ্যে অন্যতম হল আয়রন। আয়রনের ঘাটতিজনিত রোগ রক্তাল্পতা তখনই হয় যখন আপনার শরীরে পর্যাপ্ত লোহিত রক্তকণিকা থাকে না। হিমোগ্লোবিন তৈরি করতে আমাদের আয়রন প্রয়োজন, এটি এমন একটি প্রোটিন যা আপনার লোহিত রক্তকণিকার অক্সিজেন বহন করতে সহায়তা করে। রক্তাল্পতা মূলত তিনটি কারণে হয়। সেগুলি হল রক্তক্ষয়, লোহিত রক্তকণিকার উৎপাদন কমে যাওয়া এবং লোহিত রক্তকণিকা নষ্ট হয়ে যাওয়া। দীর্ঘমেয়াদি কোনও অসুখের ফলেও রক্তাল্পতা হতে পারে। যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে অর্শে ভুগছেন, যাঁরা আবার বহুদিন ধরে ক্রনিক রেনাল ফেইলিওর অর্থাৎ দীর্ঘমেয়াদি বৃক্কীয় কার্য্যহীনতায় ভুগছেন তাঁদেরও অ্যানিমিয়া হতে পারে। আবার কখনও নিজেই একটা রোগ হতে পারে যেমন সমস্ত রক্তকণিকা তৈরির অভাবে রক্তাল্পতা হয়।
আরও পড়ুনঃ এটাই 'বসন্ত রোগ'-এর সময়, চিকেন পক্স থেকে কীভাবে বাঁচবেন, জেনে নিন
কীভাবে বুঝবেন রক্তাল্পতা হয়েছে?
১. শরীরে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কম হলে ত্বক ফ্যাকাশে দেখায়। এছাড়া কারও শরীরে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে গেলে মুখ, মাড়ি, ঠোঁট, নীচের চোখের পাতা এবং নখও ফ্যাকাশে দেখায়।
২. শরীরে আয়রনের ঘাটতি হলে হৃৎস্পন্দন বেড়ে যায়। সময়মতো চিকিৎসা করানো না হলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ারও ঝুঁকি বাড়ে।
৩.রক্তে হিমোগ্লোবিনের অভাবে কোষগুলিতে অক্সিজেন সরবরাহ কম হয়। তখন ত্বক, চুল ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। ফল ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়, চুল পড়া এবং নখ ভেঙ্গে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়।
৪.আয়রনের অভাবে দেহে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে যায় তখন শরীরের টিস্যুগুলিতে অক্সিজেন সরবরাহ করতে অসুবিধা হয়। যখন পেশি পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন পায় না তখন হাঁটতে বা অন্য কোনও কাজ করতে ক্লান্ত লাগে।
৫. শরীরে লৌহের ঘাটতি হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ। হিমোগ্লোবিন উৎপাদনে লোহা গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান।
কী খেলে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ে?
নিয়মিত লৌহসমৃদ্ধ খাবার যেমন, মুরগির মেটে, ঝিনুক, ডিম, আপেল, বেদানা, ডালিম, তরমুজ, কুমড়ার বিচি, খেজুর, জলপাই, কিশমিশ, পালং শাক, ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।