স্থুলতা বা ওবেসিটি আজকের দিনে একটি বড় সমস্যা। মূলত খারাপ লাইফস্টাইল এবং অসময়ে খাওয়ার কারণে এই সমস্যায় ভুগছেন বহু মানুষ। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, পেটে জমা চর্বি হয় ৫ রকমের। কী ভাবে এই ফ্যাট দ্রুত কমাতে পারেন তারও উপায় জানিয়েছেন তাঁরা।
স্ট্রেস বেলি - নামেই বোঝা যাচ্ছে স্ট্রেসের কারণে পেটে জমা চর্বি। এটি কোর্টিসোলের স্তরে বৃদ্ধির কারণে হয়। এটা তখন হয় যখন কোনও ব্যক্তি অত্যাধিক মানসিক চাপের মধ্যে থাকেন। এতে শরীরের অ্যাবডমিনাল অংশে চর্বি জমা হয়। বহু মানুষ এ কারণে ওবেসিটির শিকার হন।
এ ধরনের বেলি ফ্যাট থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত যোগ, মেডিটেশন এবং ব্যায়াম করুন। পর্যাপ্ত ঘুম খুব প্রয়োজন। এতে চিন্তা এবং স্ট্রেস কমে।
হরমোনাল বেলি - শরীরে হরমোনের স্তরে তারতম্যের কারণে এই ফ্যাট জমা হয়। হাইপার থাইরয়েডিজম থেকে পি সি ও এস পর্যন্ত হরমোনের পরিবর্তনের কারণে এটা হতে পারে। যাতে পেটে অতিরিক্ত চর্বি জমা হয়।
এর মুক্তির একমাত্র উপায় হরমোনের ব্যালান্স বজায় রাখা। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খাওয়া প্রয়োজন। তার সঙ্গে জাঙ্ক ফুড একেবারে পরিত্যাগ করতে হবে। তার বদলে মাছ, বাদাম, অ্যাভোকাডোর মতো হেল্দি ফ্যাটযুক্ত জিনিস খেতে হবে।
লো বেলি ফ্যাট - যখন শরীরের উপরি ভাগের তুলনায় পেটের নিম্নাংশ অপেক্ষাকৃত মোটা থাকে, তাকে লো বেলি ফ্যাট বলে। বেসিরভাগ ক্ষেত্রে এমন ফ্যাটের কারণ খারাপ লাইফস্টাইল। এর অন্য এখটি বড় কারণ হজমের সমস্যা।
এ ধরনের ফ্যাট থেকে মুক্তি পেতে প্রচুর ফাইবারযুক্ত খাবার ডায়েটে রাখুন। প্রচুর জল এবং সবুজ শাকসব্জি খান। পেটের নিম্নাংশের জন্য বিশেষ ব্যায়ামে জোর দিন, যাতে এই অংশের ফ্যাট কমে।
ব্লোটেড বেলি ফ্যাট - খারাপ আহারের অভ্যাস থেকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অ্যাসিডিটি এবং গ্যাসের সমস্যা দেখা যায়। এর থেকে পেট ফুলতে থাকে। এর থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। ফাইবারযুক্ত খাবার খান, যাতে হজমের কোনও সমস্যা না হয়। সফ্ট ড্রিঙ্ক এবং অত্যন্ত ভারী খাবার খাওয়া বন্ধ করুন।
মমি বেলি ফ্যাট - সন্তান প্রসবের পর বহু মহিলার পেটে চর্বি জমে। এর ফলে গর্ভবতী না হওয়া সত্ত্বেও অনেককে প্রেগনেন্ট মনে হয়। মা হওয়ার পর ফের স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে অনেকের একটু বেশই সময় লাগে। এ নিয়ে অযথা চিন্তা করবেন না।
এর থেকে মুক্তি পেতে পর্যাপ্ত বিশ্রাম এবং সঠিক আহারের প্রয়োজন। বাদাম, অলিভ অয়েল, অ্যাভোকাডো-র মতো হেল্দি ফ্যাট ডায়েটে রাখুন। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যায়াম করলে সুফল পাওয়া যায়।