অনেকেরই সকালের খাবারে পছন্দ ব্রেড-অমলেট বা ডিম-পাউরুটি। পুষ্টিবিদরাও বলছেন ব্রেকফাস্টে অমলেট খাওয়া স্বাস্থ্যকর হতে পারে।
কিন্তু এতেও আপনি কতটা খাচ্ছেন আর তৈরি করার ওপর নির্ভর করছে, ব্রেড-অমলেট কতটা স্বাস্থ্যকর।
টানা ২১দিন ধরে পাউরুটি-অমলেট খেলে তা শরীরে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
অমলেটের সঙ্গে যদি সাদা পাউরুটি খান তাহলে এই ধরনের ব্রেড প্রসেসিং করা হয়। এতে ফাইবার থাকে না, সহজে হজমও হয় না এবং রক্তে শর্করার মাত্রাও বাড়িয়ে দেয়।
ব্রাউন ব্রেড ততক্ষণ স্বাস্থ্যকর নয়, যতক্ষণ তাতে মাল্টিগ্রেইন না থাকে। এখন বাজারে পাওয়া ব্রাউন ব্রেডে ক্যারামেল রং মিশিয়ে ব্রাউন করা হয়।
আটার তৈরি পাউরুটি ফাইবারে ভরা থাকে ও এতে খুব অল্প মাত্রায় হলেও পুষ্টি পাওয়া যায়। এই ব্রেড খুব ধীরগতিতে হজম হয় ও রক্তে শর্করাও আস্তে আস্তে বাড়ায়।
অমলেট তৈরির জন্য অনেকেই ঘি, মাখন, তেল বেশি মাত্রায় ব্যবহার করেন, এতে ক্যালরি অনেকটা বেড়ে যায়।
এরপর যদি পাউরুটিতে ঘি বা মাখন মাখানো হয়, এতে আরও ক্যালরি বাড়ে।
২টো ডিমে ১৪০-১৫০ ক্যালরি থাকে। যদি আপনি অধিক ডিম ব্যবহার করেন তাহলে বেশি ক্যালরি শরীরে যাবে। ব্রেকফাস্টে ৫০০-৬০০ ক্যালরির খাবার খেলে, বাকি দিনে আপনার ক্যালরি কাউন্ট বাড়বে। এতে ওজনও বেড়ে যাবে।
ডিম উচ্চমানের প্রোটিন , বি ভিটামিন, কোলিন এবং প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড সমৃদ্ধ যা ওজন কমাতে এবং পেশী বৃদ্ধিতে সাহায্য করতে পারে।
যদি আপনি মাল্টিগ্রেইন পাউরুটি এবং কম তেলে অমলেট তৈরি করেন, তাহলে এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে, ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করতে এবং সারাদিনের খিদে কমাতে সহায়ক হতে পারে।
পাউরুটিতেও ২-৩ গ্রাম প্রোটিন থাকে, তাই আপনি যদি ২টি পাউরুটি এবং ২টি ডিমের অমলেট খান, তাহলে আপনি সকালের ব্রেকফাস্টে প্রায় ১৫-১৬ গ্রাম প্রোটিন পাবেন।