যে কোনও বয়সের মানুষের মুরগির মাংস অত্যন্ত প্রিয়। ঘুগনি, চাউমিন হোক বা রোল যে কোনও পদে সামান্য চিকেন যোগ করলেই তার স্বাদ আলাদা হয়। রকমারি স্বুসাদু পদ রান্না করা যায় চিকেন দিয়ে।
মটন,পর্ক বা অন্য রেড মিটের থেকে চিকেন অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর। তবে অবশ্যই তা খেতে হবে পরিমাণ মতো এবং স্বাস্থ্যকর উপায়ে। চিকেনে লুকিয়ে রয়েছে অনেক গুণ। জানুন উপকারিতা...
হাড়ের ক্ষয় প্রতিরোধ করে
আর্থ্রাইটিস ও হাড় সংক্রান্ত অন্যান্য রোগের আশঙ্কা বেশি থাকে বয়স্কদের। প্রবীণ নাগরিকদের অনেকেই চিকেন খেতে পছন্দ করেন না। তবে তাদের ডায়েটে চিকেন রাখলে হাড়ের ক্ষয় প্রতিরোধ করে।
হার্ট ভাল রাখে
হোমোকিস্টাইনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রেখে, হার্টের বিভিন্ন ধরনের কার্ডিওভাস্কুলার রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে চিকেন। হোমোকিস্টাইন এমন একটি অ্যামিনো অ্যাসিড যা, উচ্চ মাত্রায় থাকলে হার্টের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
প্রোটিন সরবরাহ
চিকেন শরীরে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিনের উৎস জোগায়। মাংসপেশি শক্ত করার জন্য প্রোটিন প্রয়োজন। ফলে যারা জিম বা নিয়মিত মাংসপেশি বৃদ্ধির জন্য চেষ্টা চালাচ্ছেন, তারা ডায়েটে চিকেন রাখতে পারেন।
ফসফরাসের সমৃদ্ধ
মুরগির মাংস ফসফরাস সমৃদ্ধ। যার ফলে দাঁত ও হাড় ভাল থাকে। এছাড়া কিডনি, লিভার ও স্নায়ুতন্ত্র নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে ফসফরাস।
চোখ ভাল রাখে
মুরগির মাংসে রেটিনল, আলফা ও বিটা ক্যারোটিন, লাইকোপেন থাকে যা ভিটামিন ‘এ’ তে মেলে। চোখের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে এগুলি জরুরি উপাদান।
বিষণ্ণতা দূর করে
মুরগির মাংসে উচ্চ মাত্রায় ট্রাইফটোফ্যান নামক অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে। যা মস্তিষ্কে সেরেটোনিনের মাত্রা বাড়িয়ে চাপমুক্ত থাকতে সাহায্য করে। ফলে ফলে বিষণ্ণতা কাটাতে চিকেনের জুরি মেলা ভার।
তবে কোনও কিছুই অত্যাধিক খাওয়া ঠিক না। এছাড়া কারও কোনও শারীরিক সমস্যা থাকলে, অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন এবং সেই অনুপাতে খান চিকেন।