শীতের মরশুমে খাদ্যরসিক বাঙালীর প্রথম পছন্দ খেজুর গুড়। আর শীত একটু পড়তেই নদিয়াতে খেজুর গুড় তৈরি শুরু হয়ে গিয়েছে। (ছবি - বিশ্বজিৎ ব্যানার্জী)
লক ডাউনের ফলে অনেক চাষির কাজ বন্ধ ছিল। এবার তাই নতুন উদ্যোমে চাষিদের মধ্যে ব্যাপক তৎপরতা দেখা যাচ্ছে। প্রতিদিনই খেজুরের রস সংগ্রহ করার পর গুড় তৈরির কাজ করছেন অসংখ্য চাষি এবং তাঁদের পরিবারের লোকজন।
এই বছর করোনা সংক্রমণের জেরে লকডাউন পরিস্থিতিতে কী হবে, কেমন বিক্রি হবে সেই সব ভেবে খেজুরের রস থেকে গুড় তৈরির মত জীবিকা করছেন কিছু অর্থের আশায়।
এখন করোনা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। তাই জোর তৎপরতা শুরু হয়েছে শিউলি চাষিদের। শিউলি চাষিরা খেঁজুর গাছে হাঁড়ি লাগিয়ে মিষ্টি রসের আশায় রয়েছেন।
নদিয়ার বিভিন্ন গ্রাম সহ মাজদিয়া, করিমপুর, চাপরা, রানাঘাট, শান্তিপুর, চাকদহ, নাকাশিপাড়া, কালীগঞ্জ, গগনাপুর, মদনপুর বিভিন্ন জায়গায় খেঁজুর গুড় তৈরি শুরু হয়ে গিয়েছে । বাজারে চলেও আসছে।
খেজুরের রস সংগ্রহ করেন শিউলি চাষিরা। রস সংগ্রহ করার পর সেটি এক জায়গায় মজুত করেন। এরপর বাড়ির অধিকাংশ মহিলারা গুড় তৈরির কাজে লাগেন।
ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত গুড় তৈরির কাজ চলে। বিভিন্ন বাজারে বর্তমানে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা কিলো দরে বিক্রি হচ্ছে খেজুর গুড়। বিক্রি হচ্ছে খেজুর রসও।
এই বছর খুবই সমস্যায় পড়েছেন শিউলি চাষিরা। লকডাউন কাটতে তাই ঘুরে দাঁড়াবার চেষ্টা করছেন খেঁজুর গুড় বিক্রি করে।
খেজুরের রসকে আগুনে জাল দিয়ে দুই ধরনের গুড় তৌরি করা হয়। ঝোলাগুড় ও শক্ত গুড় ।
শুরু হয়ে গিয়েছে পৌষ মাস। বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্যে খেজুরের চাহিদা বাড়বে। পৌষ পার্বণে বিভিন্ন ধরনের পিঠা, পুলি, পায়েস তৈরি ক্ষেত্রে এই গুড়ের চাহিদা থাকবেই ।