কনডোমের কার্যকারীতা এবং ব্যবহার সম্পর্কে নতুন করে বলার কিছু নেই! এ দেশেও বর্তমানে স্কুল স্তর থেকেই যৌন শিক্ষার উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। সুরক্ষিত যৌন জীবন, যৌনরোগ আর তার সংক্রমণ ঠেকাতে কী কী করণীয়, সে সব বোঝানোর জন্য সরকারি উদ্যোগে একাধিক প্রচারাভিযান চালানো হচ্ছে।
সুরক্ষিত যৌন জীবনের জন্য বা জন্ম নিয়ন্ত্রণে সরকারি উদ্যোগেও বিনামূল্যে কনডোম বিলি করা হয়। এত কিছু সত্ত্বেও এ দেশে কনডোমের ব্যবহার উল্লেখযোগ্য হারে কম! জাতীয় পরিবার স্বাস্থ্য সমীক্ষার (National Family Health Survey) রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের ২০ থেকে ২৪ বছর বয়সী ৮০ শতাংশ তরুণই সঙ্গমের সময় কনডোমের ব্যবহার করেন না।
কিন্তু যাঁরা কনডোমের ব্যবহার করেন, যাঁরা নিজেদের যৌন জীবন সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতন, তাঁরাও কি সকলে কনডোমের প্রকারভেদ সম্পর্কে জানেন! যে কনডোম বাজার থেকে কিনে আনছেন, সেটি কোন ধরনের বা সেটির বিশেষ কার্যকারীতা কী, সে সম্পর্কে বিন্দু মাত্র ধারণা নেই অধিকাংশেরই।
বাজারে মূলত চার রকমের Condom পাওয়া যায়। ল্যাটেক্স, লুব্রিকেটেড, টেক্সচার্ড আর স্পর্মিসাইড কোটেড কন্ডোম। জানেন কী এর মধ্যে কোন ধরনের কনডোমের বিক্রি বেশি বা কোনটার দাম বেশি? কেনার আগে জেনে নিন কনডোমের খুঁটিনাটি...
ল্যাটেক্স Condom: অধিকাংশ পুরুষই ল্যাটেক্স কনডোম ব্যবহার করেন। এগুলির দাম তুলনামূলক ভাবে কম। বাজারে এই জাতিয় কনডোমের বিক্রিও তাই বেশি। তবে অধিকাংশই মূলত না দেখে বা না জেনেই ল্যাটেক্স কনডোম কেনেন। সিলিকন, ল্যাটেক্স, পলিউথারিননাগেটস— এমনই নানা উপাদান দিয়ে কনডোম তৈরি করা হয়। ল্যাটেক্স কনডোমের উপাদান সংবেদনশীল ত্বকে অ্যালার্জি বা ব়্যাশের কারণ হতে পারে। সঙ্গমের সময় বা পরে যৌনাঙ্গে অস্বস্তি বাড়াতে পারে।
লুব্রিকেটেড Condom: মোটামুটি সব কনডোমেই লুবরিকেন্ট বা তৈলাক্ত উপাদান ব্যবহার করা হয়। তবে বিশেষ ভাবে লুব্রিকেটেড কনডোম সঙ্গমের সময় যৌনাঙ্গের অস্বস্তি বা ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। তবে কনডোমের লুবরিকেন্ট বা তৈলাক্ত উপাদানটি সম্পর্কে সচেতন হওয়া জরুরি। না হলে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি থেকে যায়।
টেক্সচার্ড Condom: বাজারে টেক্সচার্ড কনডোমেরও যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। এগুলির গায়ে থাকা অসংখ্য সূক্ষ ভাঁজ, বিন্দু সঙ্গমের সময় যৌনাঙ্গকে আরও উদ্দীপিত করে তোলে। সঙ্গমের সুখ, যৌনতায় সূক্ষ সূক্ষ ভালোলাগাগুলিকে আরও বাড়িতে তোলে।
স্পর্মিসাইড কোটেড Condom: এই ধরনের কনডোম শুক্রানুর সক্রিয়তা কমিয়ে গর্ভধারণের ঝুঁকি অনেকাংশেই কমিয়ে দেয়। স্পর্মিসাইড কোটেড কনডোমে ব্যবহৃত Nonoxynol-9 রাসায়নিক শুক্রাণুকে জরায়ুতে প্রবেশ করার আগেই মেরে ফেলে, শুক্রাণু চলাচলে বাধা দেয়। ফলে কমে গর্ভধারণের ঝুঁকি।