গত দু'বছরে হৃদরোগ জনিত সমস্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। আগে ৩৫ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের কারণে মৃত্যুর ঘটনা কমই দেখা যেত। বিশেষত করোনা ভাইরাস হানা দেওয়ার পর হৃদরোগের অনেক নতুন কারণের জন্ম দিয়েছে।
মুম্বইয়ের এশিয়ান হার্ট ইনস্টিটিউটের এক চিকিৎসক জানান, অগস্টে ২৮ বছর বয়সী এক যুবক গুরুতর বুকে ব্যথা এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে এসেছিলেন। ওই যুবকের পোস্ট কোভিড হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল। তবে অল্পের জন্য বেঁচে যান তিনি।
ইউরোপিয়ান সোসাইটি অব কার্ডিওলজি চলতি বছরের আগস্টে পরিচালিত এক গবেষণায় তরুণদের মধ্যে অতিরিক্ত মদ্যপান এবং ধূমপানের অভ্যাসকে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক এবং হৃদরোগের জন্য দায়ী বলে মনে করা হয়েছে।
তরুণদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের ক্রমবর্ধমান প্রবণতা বাড়ার কারণ বোঝার জন্য গত দু'বছরে অনেক গবেষণা করা হয়েছে।
এবছরই অগস্টে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা স্কুল অফ পাবলিক হেলথ ইউনিভার্সিটিতে ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সী ৪, ৯৪৬ জনের ওপর একটি গবেষণা চালানো হয়েছিল। গবেষণার মতে, ৫২ শতাংশ মানুষের হৃদরোগের ঝুঁকি কম পাওয়া গেছে। তবে, এঁনারা স্বাস্থ্যকর খাবার খেতেন।
এই গবেষণাতে এর মধ্যে ৩০ বছর বয়সীদের পরে হৃদরোগ হওয়ার সম্ভাবনা প্রকাশ করা হয়ে। আমেরিকান হার্ট ইনস্টিটিউট এপ্রিলে করা একটি গবেষণায়, অতিরিক্ত মোটা হলে তাকে হৃদরোগের প্রধান কারণ হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছিল।
বেশি মোটা হলে ঘুমের ব্যাধি, ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ বাড়ায়। আলবার্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, তরুণদের হার্ট অ্যাটাক কোলেস্টেরল এবং স্থূলতার সঙ্গে যুক্ত ছিল।
ব্রিটিশ পত্রিকা নেচারের অক্টোবর ২০২০ -এর গবেষণায় দেখা গেছে, কিছু মানুষের মধ্যে হৃদরোগ জন্মগত।
গবেষণায়, মোটা হলে আরও বেশি শারীরিক ক্রিয়াকলাপ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে কারণ এটি কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি হ্রাস করে। ডাক্তাররা যুবকদের নিয়মিত ব্যায়াম, স্বাস্থ্যকর খাবার এবং হৃদরোগ থেকে নিজেকে দূরে রাখতে সক্রিয় থাকার পরামর্শ দেন।
গবেষণায় দেখা গেছে, মদ্যপান এবং ধূমপান রক্তচাপ, কোলেস্টেরল এবং রক্তের গ্লুকোজের ওপর প্রভাব ফেলে। জাঙ্ক এবং চর্বিযুক্ত খাবারের কারণে, ধমনী শক্ত হয়ে যায় যা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।