ইন্ডেন গ্রাহকদের জন্য সুখবর। এখন গ্যাস বুকিং-এর জন্য আর কোনও ঝামেলা পোহাতে হবে না। মিস কল দিয়েই পাওয়া যাবে গ্যাস।
রিফিল বুকিং করতে আপনাকে আর ইন্ডেনের আইভিআরএস-এ ফোন করতে হবে না। মোবাইল নম্বর ৮৪৫৪৯৫৫৫৫৫-এ ইন্ডেনে আপনার নথিভুক্ত ফোন নম্বর থেকে একটা মিসড্ কল করলেই আপনার রিফিল আপনাআপনি বুক হয়ে যাবে।
আর তার পরেই আপনার মোবাইলে এসএমএস পাঠিয়ে জানিয়ে দেওয়া হবে আপনি কত দিনের মধ্যে সিলিন্ডার পেতে পারেন।
গ্রাহক সুবিধার্থে ইন্ডেনের এই মিসড্ কল পরিষেবা চালু করলেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। ওই একই নম্বরে মিসড্ কল করে ইন্ডিয়ান অয়েলের এলপিজি-র নয়া সংযোগও মিলবে।
পাশাপাশি, কলকাতা সহ আরও সাতটি শহরের কয়েকটি পেট্রল পাম্পে ইন্ডিয়ান অয়েল তাদের প্রিমিয়াম গ্রেড পেট্রল, এক্সপি ১০০-এর বিক্রি শুরু করেছে।
তবে মিসড্ কলে গ্যাস বুকিং করতে হলে গ্রাহকের যে ফোন নম্বর ইন্ডেনে নথিভুক্ত রয়েছে, সেই নম্বর থেকেই ৮৪৫৪৯৫৫৫৫৫ ডায়াল করতে হবে। অন্য কোনও নম্বর থেকে ডায়াল করলে বুকিং হবে না।
রান্নার গ্যাসের নয়া সংযোগ পেতে কোনও ব্যক্তি ৮৪৫৪৯৫৫৫৫৫ ডায়াল করার পরে একটা এসএমএস পাবেন, যাতে একটা লিঙ্ক থাকবে। সেই লিঙ্কে গিয়ে নাম, ঠিকানা ইত্যাদি কয়েকটি তথ্য লিখে সাবমিট করলে সংশ্লিষ্ট ঠিকানার সবথেকে কাছে ইন্ডেনের যে ডিস্ট্রিবিউটর রয়েছে, সেখান থেকে ওই ব্যক্তির সঙ্গে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যোগাযোগ করা হবে। এর ফলে যে কোনও ব্যক্তি বাড়িতে বসেই গ্যাসের নয়া সংযোগ পাবেন, তাঁকে কোথাও যেতে হবে না। '
এদিকে এবার রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার ডেলিভারি করার ক্ষেত্রেও আসছে তৎকাল পরিষেবা। এই পরিষেবা চালু হলে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার বুকিং করার পর ৩০ মিনিটের মধ্যে মিলবে ডেলিভারি। এক্ষেত্রে ডেলিভারি দেওয়ার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সময়সীমা ৪৫ মিনিট। ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের কথা অনুযায়ী, রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে শহর কিংবা জেলা বেছে নিতে হবে যেখান থেকে এই পরিষেবা শুরু করা যাবে৷
IOC-এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই পরিষেবা শুরু করার জন্য জরুরি কাজ চলছে। এই কাজ প্রায় শেষের দিকে। আশা করা যাচ্ছে ২০২১ এর ফেব্রুয়ারি মাসের ১ তারিখ থেকেই এই তৎকাল গ্যাস ডেলিভারি পরিষেবা শুরু হয়ে যাবে। জানা যাচ্ছে, এই পরিষেবা কেন্দ্র সরকারের ‘Ease Of Living’ প্রকল্পের একটি অংশ।
IOC-এর আধিকারিকদের বক্তব্য অনুযায়ী, যে সকল গ্রাহক এই তৎকাল পরিষেবা নেবেন তাদের আলাদা করে একটি চার্জ দিতে হবে। তবে সেই চার্জ কত টাকা নেওয়া হবে , সে বিষয় এখনো কিছু নিশ্চিত করা হয়নি। এ বিষয়ে আধিকারিকদের মধ্যে আলোচনা চলছে।