করোনা অতিমারী মানুষের শুধু শারীরিক না, মানসিক সমস্যাও তৈরি করছে। এর জেরে পারিবারিক জীবনেও সমস্যা দেখা দিয়েছে। সেই সঙ্গে যৌন জীবনেও এর প্রভাব পড়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিমারীর জন্য কাপলদের মধ্যে সমস্যা তৈরি হচ্ছে এবং তাঁদের যৌন চাহিতা হ্রাস পাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে অনেক জুটির মনে প্রশ্ন উঠেছে যে, তাঁরা কী পুনরায় সেক্স লাইফ শুরু করতে পারবেন?
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যে কোনও জুটির ভাল এবং সন্তোষজনক যৌন জীবন শুরু করার জন্য সপ্তাতে অন্তত একবার যৌন সম্পর্ক স্থাপন করা উচিত। শুধু তাই নয়, তাঁরা মনে করছেন, যারা সপ্তাহে অন্তত একবার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন, তাঁরা সবচেয়ে সন্তোষজনক ও সুখী জীবনযাপন করেন।
দম্পতিরা কীভাবে তাদের যৌন জীবনে সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারেন, বিশেষত যখন দম্পতিরা বাবা-মা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, তখন তাঁরা কী করবেন, সেই পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
জার্নাল সোসাইটি সাইকোলজি অ্যান্ড পার্সোনালিটি সাইয়েন্স-এ প্রকাশিত একটি জার্নাল অনুযায়ী, যেই সমস্ত দম্পতিরা সপ্তাহে একবার যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেন, তাঁরা সুখী থাকেন। তবে সপ্তাহে একবারের বেশী যৌন সম্পর্ক স্থাপনে এমন কিছু পার্থক্য হয় না।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সেক্স লাইফের তিনটি বিভাগ আছে। বিনোদনমূলক বা কেবল মজার জন্য, নিজের সঙ্গীর সাথে সম্পর্কযুক্ত বা সংযুক্তির জন্য এবং পরিবার পরিকল্পনায়। তবে তিন ধরনের সেক্সের নিজস্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে যে কোনও এক ধরনের সেক্সের দিকে মনোনিবেশ করা দম্পতিদের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হতে পারে এবং ধীরে ধীরে যৌন আকাঙ্ক্ষা হ্রাস পেতে পারে।
যে সমস্ত দম্পতিরা ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশনের সহায়তা নিয়েছেন, সন্তান ধারনের জন্য, প্রজননের এই প্রক্রিয়ার শুরুতে, যৌন সম্পর্কে এর খুব প্রভাব পড়ে। দম্পতিরা এক্ষেত্রে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতে চান না। তাঁদের অনেকেই ভুলে যান যে, যৌনতা শুরু মাত্র সন্তান ধারনের প্রক্রিয়া না, এটি সম্পর্ক আরও মজবুত করার হাতিয়ার।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যে কোনও জুটির মধ্যে সপ্তাহে একদিন আবেগপ্রবণ সেক্স হওয়া খুব জরুরী। এটি পার্টনারের সঙ্গে সম্প্রক আরও গভীর করে। এই সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করতে আরও ভিন্ন ধরনের প্রক্রিয়া চেষ্টা করা যেতে পারে।
এক্ষেত্রে সন্তানের জন্ম দেওয়ার পরও বাবা-মায়েদের ইচ্ছে শক্তিটাই আসল। তাঁরা বলছেন, সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে যৌনতা সম্পর্কিত একাধিক রোম্যান্টিক জিনিস করা উচিত। সেই সঙ্গে একসঙ্গে সময় কাটানো, স্নান করা ইত্যাদি করলে যৌন চাহিদা অনেক বৃদ্ধি পায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কোনও রকম অনিচ্ছা বা চাপে এসে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করা ঠিক না। একটি জুটির মধ্যে ভিন্ন ধরনের কার্যকলাপের ফলে সম্পর্ক গভীর হতে পারে।