পৌষ মাসের মাঝামাঝি থেকে বাজারে কুল পাওয়া যায়। কুলের সঙ্গে সরস্বতী পুজোর একটা নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে, তা সকলেরই জানা। ছোট্ট এই ফল এই পুজোয় বিশেষভাবে দেবীকে উৎসর্গ করা হয়। টক-মিষ্টি স্বাদের ছোট্ট এই ফল কুল প্রায় সবারই খুব প্রিয়। কুলের রয়েছে নানাবিধ উপকারিতা।
কুলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। এছাড়াও ভিটামিন এ এবং পটাসিয়াম পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায়। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করতে কাজ করে এবং টনসিলাইটিস, জিভ বা ঠোঁটের কোণে ঘা ইত্যাদি সংক্রামক রোগ দূর করে।
কুল অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট গুণে ভরপুর, যা ক্যানসার, লিউকেমিয়া ও টিউমারের মতো মারণ রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।
মরসুমের বদলের জন্যে জ্বর, সর্দি-কাশি লেগেই থাকে ঘরে ঘরে। এই সমস্যা প্রতিরোধ করে কুল। এছাড়া জিভের স্বাদ আনার পাশাপাশি হজমশক্তি বাড়ায় এই ফল।
কুলে খুব কম ক্যালোরি থাকে তবে এটি শক্তির খুব ভাল উৎস। ক্রমাগত মোটা হয়ে যাওয়া, পেটের সমস্যা, রক্তশূন্যতা, ব্রঙ্কাইটিস ইত্যাদি রোগ নিরাময়ে কুলের জুরি মেলা ভার।
ত্বকের জন্যেও এটি খুব ভাল। ত্বকের রুক্ষতা দূর করে কোমল করে। এমনকী বয়সের ছাপ পড়তে বাঁধা দেয় কুল।
কুলের উপস্থিত নানা উপাদানগুলো শরীরে শক্তি জোগায়। যার ফলে খুব দ্রুত অবসাদ কেটে যায়। কুল অত্যন্ত উপকারী রক্ত বিশুদ্ধকারক ফল। উচ্চরক্তচাপ ও ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যেও ভাল এই ফল।
যকৃতের নানা রোগ প্রতিরোধে কুল খুব ভাল কাজ করে। যকৃতের কাজ করার ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে এই ছোট্ট ফল। যার ফলে খুব দ্রুত অবসাদ কেটে যায়।
যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য আছে, তাঁরা কুল খেলে উপকার পাবেন। এছাড়াও ক্ষিদে বাড়ায় এটি।
কুলে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস রয়েছে। যার ফলে দাঁত ও হাড় মজবুত হয়।