করোনার মাঝেই নয়া রোগের আতঙ্ক। যা ইতিমধ্যেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশে। এখনও পর্যন্ত ৫০০-র বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন এই রোগে। রোগের উপসর্গ, হঠাৎ করে অজ্ঞান হয়ে যাওয়া এবং মৃগি। যদিও স্বস্তির খবর একটাই, এই রোগ থেকে দ্রুত সুস্থও হয়ে উঠছেন রোগীরা।
রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী একে কৃষ্ণা শ্রীনিবাস জানাচ্ছেন, এই রোগে এখনও পর্যন্ত ৫১০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৪৩০ জনকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ১ জনের। এক্ষেত্রে মানুষকে আতঙ্কিত না হওয়ার বার্তা দিচ্ছেন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী। জানা গিয়েছে এই রোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখছে এইমস এবং প্রাথমিক ফলাফলও প্রকাশ্যে এসেছে।
এইমসের অনুসন্ধানে অসুস্থদের রক্তের নমুনা থেকে সিসা ও নিকেলের মত রাসায়নিক পাওয়া গিয়েছে। যার জেরে জাতীয় পুষ্টি ইনস্টিটিউট এখন জল, ভোজ্যতেল এবং চালের নমুনা সংগ্রহ করছে। তবে উদ্বেগের বিষয় হল, এই রোগটি কোনও নির্দিষ্ট অঞ্চলে সীমাবদ্ধ নয়। এই প্রসঙ্গে এনআইএন-এর এক বিজ্ঞানী বলেন, এটি যদি জল বা বায়ুবাহিত রোগ হত তবে নির্দিষ্ট অঞ্চলের মানুষেরা আক্রান্ত হতেন। কিন্তু এটাতে প্রায় পুরো এলুরু শহর জুড়েই মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পরিবারের একজন সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন। এই ঘটনা রীতিমতো উদ্বেগজনক বলেই মনে করা হচ্ছে।
এই প্রসঙ্গে এক স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান, অসুস্থদের ৭০ শতাংশই এলুরুর শহরাঞ্চলের বাসিন্দা। পার্শ্ববর্তী এলাকায় এই রোগ ছড়ায়নি। পাশাপাশি জলের যে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে তাতে দূষণ পাওয়া যায়নি বলেই জানান তিনি।
এলুরুর সরকারি হাসপাতালের নোডাল অফিসার এ এস রাম জানান, 'বেশিরভাগেরই মৃগি ছিল। কেউ গণ হিস্টিরিয়ার কথাও বলেছেন। যদিও আদতে তা ছিল না। কারও কারও মাথায় আঘাত, চোখের নিচে কালির লক্ষণ রয়েছে। কেউ হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পড়েছেন।' পাশাপাশি অনেক রোগীর গ্যাস্ট্রিক বা পেটের সমস্যা রয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে।
এ এস রাম আরও বলেন, 'রোগীদের সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে এবং সুস্থতার হারও বেশি'। এদিকে এই ঘটনায় তদন্তের দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডি।
এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই এইমস, ন্যাশনাল ইনস্টিটিশন অফ ভাইরোলজি এবং সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের বিশেষজ্ঞরা রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্তাদর সঙ্গে আলোচনা করেছেন। পাশাপাশি কথা বলেন রোগীদের সঙ্গেও।