প্রচণ্ড খিদে পেলে কার মাথার ঠিক থাকে! হাতের সামনে যা পাওয়া যায়, তাই পেটে চালান করে দিতে ইচ্ছে করে। তবে এমন কিছু খাবার আছে যেগুলি প্রচণ্ড খিদে পেলেও মোটেই খাওয়া উচিৎ নয়। আসুন এ বিষয়ে সবিস্তারে জেনে নেওয়া যাক...
ফল: খালি পেটে ফল খেতে নেই— এই কথাটা আমরা প্রায় ছেলেবেলা থেকেই শুনে আসছি। খিদে পেলে একটা কলা বা একটা আপেল খেয়ে খুব বেশি ক্ষণ থাকা যায় না। ফলে খিদে খিদে ভাব আবার ফিরে আসে। তাই এই সবের সঙ্গে কোনও প্রোটিন জাতিয় খাবার খাওয়া উচিৎ। ফলের সঙ্গে সামান্য পরিমাণ বাদাম, পিনাট বাটার বা পনির খেতে পারেন।
বিস্কুট বা চিপস: লাঞ্চ বা ডিনারে হয়তো ঘণ্টা দুয়েক দেরি আছে। তাই ভারি কিছু খেতে ইচ্ছে করছে না। এ দিকে টুকটাক কিছু না খেলেই নয়! এই রকম পরিস্থিতিতে বিস্কুট বা চিপস ভুলেও খাবেন না। কারণ, এগুলিতে থাকা কার্বোহাইড্রেট অল্প সময়ের মধ্যেই হজম হয়ে যাবে। ফলে খিদে খিদে ভাব আবার ফিরে আসবে। সে ক্ষেত্রে একটা স্যান্ডউইচ বা একটা কেক বা ওই জাতিয় কিছু খেতে পারেন।
কমলালেবু, কফি বা সস: এই সমস্ত খাবার খালি পেটে খেলে অ্যাসিডিটি অনিবার্য! খালি পেটে এই সমস্ত খাবারে পেট খারাপ হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। বিশেষ করে যাঁদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের জন্য খালি পেটে কফি পান করাটা মারাত্মক ক্ষতিকর! এই সময়টা সবজির সালাদ খেতে পারেন। এ সময়ে সেদ্ধ ডাল বা মুরগীর মাংসও (মশলাদার হলে চলবে না) খাওয়া যেতে পারে।
ঝাল খাবার: মধ্যাহ্নভোজের সময় পেরিয়ে গিয়েছে কাজের চাপে। তাই ঝাল ঝাল মুখরোচক কোনও খাবার অর্ডার করে বসলেন আর তাই দিয়েই পেট ভরালেন। এমনটা করলে হজমের সমস্যা একেবারে অবধারিত! খালি পেটে ঝাল-মশলাদার খাবার খেলে ওই মশলা পাকস্থলীর আবরণের (স্টমাক লাইনিং) ওপর সরাসরি ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে। তাই ঝাল ঝোল খাবার খাওয়ার আগে দুধ বা দই খেয়ে নিতে পারলে ঝালের প্রভাব সরাসরি পাকস্থলীর ওপর পড়বে না।