বর্তমানের চূড়ান্ত কর্মব্যস্ত জীবনে তৃপ্তিদায়ক যৌনতার সুযোগ মেলে কালে-ভদ্রে! প্রচণ্ড শারীরিক ধকল বা মানসিক চাপে ভাটা পড়ে যৌনজীবনে। ঘরে-বাইরের প্রচণ্ড মানসিক ও শারীরিক ধকলে যৌনতার সাধ থাকসলেও, তখন আর তা সাধ্যে কুলোয় না!
কাজের চাপে ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে পড়া অতৃপ্ত যৌনজীবন, যথাযথ যৌন পরিতৃপ্তির অভাবই একাধিক সম্পর্ককে ঠেলে দেয় বিবাহ বিচ্ছেদের দিকে। বছর দুয়েক আগে একটি সমীক্ষায় জানা যায় যে, ভারতে প্রতি বছর যত বিবাহ বিচ্ছেদ হয়, তার অন্তত ৩০ শতাংশ হয় অতৃপ্ত যৌনজীবনের কারণে।
দুর্বল যৌনজীবন, যৌনতায় অক্ষমতার জন্য অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দায়ী অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, মাত্রাতিরিক্ত মদ্যপান বা ধূমপানের অভ্যাস, অতিরিক্ত ওজন এবং উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা। এর পাশাপাশি অনেক সময় এই সমস্যা থাইরয়েড বা ডায়াবেটিসের কারণেও হতে পারে।
সব মিলিয়ে ইচ্ছা থাকলেও শারীরিক সক্ষমতার অভাবে সঙ্গমে ভাঁটা পড়ে। অনেকেই তাই যৌন স্ফুর্তি বাড়ানোর জন্য ভায়াগ্রা খেয়ে থাকেন। ভায়াগ্রা খেয়ে কাজ হয় ঠিকই, তবে এতে বিরূপ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ারও ঝুঁকি থাকে। এ ক্ষেত্রে ভেষজ উপাদানের সাহায্য নেওয়া যেতেই পারে।
পেঁয়াজ এমন একটা সবজি রয়েছে যেটা প্রায় সকলের রান্নাঘরেই থাকে! কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন না, এই পেঁয়াজের রসে থাকা বিশেষ কয়েকটি উপাদান আমাদের যৌন ক্ষমতা বা স্ফুর্তি প্রায় তিন গুণ পর্যন্ত বাড়িয়ে দিতে পারে!
সাম্প্রতিক অতীতের একাধিক গবেষণায় প্রমাণ মিলেছে, পেঁয়াজের রস খেলে টেস্টোস্টেরন হরমনের ক্ষরণ অনেকটাই বেড়ে যায়। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই অনেকটা বেড়ে যায় সঙ্গমের স্ফুর্তি আর ইচ্ছা।
এ প্রসঙ্গে হরমোন বিশেষজ্ঞ এলিসা ভিটির মতে, সময় নিয়ে ধীরে ধীরে পেঁয়াজের রস সঠিক উপায়ে খেতে পারলে তা আমাদের যৌন ইচ্ছা বাড়িয়ে তোলে, আমাদের যৌনাঙ্গকে সক্রিয় করে তোলে।
এর জন্য প্রতিদিন সকালে এক কাপের মতো পেঁয়াজ কুচি এক চামচ মাখনে ভেজে মধু মিশিয়ে খেতে পারলে কামেচ্ছা ও যৌন স্ফুর্তি প্রায় তিন গুণ পর্যন্ত বেড়ে যেতে পেতে পারে।