উদ্ভিদজাত প্রোটিন, অ্যামিনো অ্যাসিড এবং অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা থাকা সত্ত্বেও সয়া নিয়ে পুষ্টিবিদদের মধ্যে বিতর্ক রয়েছে। কিছু বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, পুরুষদের সয়া খাওয়া এড়িয়ে যাওয়া উচিত। সয়া পুরুষদের যৌন ক্ষমতার ওপর খারাপ প্রভাব ফেলে। আবার কিছু বিশেষজ্ঞ এই যুক্তিকে মোটেও সমর্থন করেন না।
অনেক বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে সয়া একটি বিশেষ শ্রেণীর পলিফেনলে সমৃদ্ধ যাকে আইসোফ্লাভোনস বা ফাইটোস্ট্রোজেন বলা হয়। এই পলিফেনোনগুলি মহিলাদের হরমোন এস্ট্রোজেনের অনুরূপ বলে জানা গেছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ফাইটোএস্ট্রোজেনের কারণে পুরুষদের যৌন ক্ষমতার ওপর খারাপ প্রভাব পড়ে।
গবেষণায় দেখা গেছে, সয়া আইসোফ্লাভোনস এবং ইস্ট্রোজেনের প্রক্রিয়াগুলি খুবই আলাদা।
২০০৮-এর এক গবেষণায়, বেশি পরিমানে সয়া খেলে তা পুরুষদের শুক্রাণুর ঘনত্ব হ্রাস করে বলে দাবি করা হয়।
২০১৫ সালে একটি গবেষণা গ্ৰুপ তথ্য প্রকাশ করে যেখানে গবেষকরা, সোযা খেলে পুরুষদের ফার্টিলিটি কমে যাওয়ার বিষয়ে কোনও তথ্য পায়নি। গবেষণায় দেখা গেছে, সুস্থ পুরুষদের বীর্যের গুণমানের ওপর কোন বিরূপ প্রভাব নেই। যারা দু'মাসে প্রতিদিন ৪০ গ্রাম সয়া খায় কোনও খারাপ প্রভাব ফেলে না বলে জানায়।
সম্প্রতি, ফিটনেস ইন্ডাস্ট্রি সয়া এবং সয়া জাতীয় পণ্যগুলির ব্যবহার বারিয়েছে। সবজি, সালাড, তরকারি, স্মুদি, দুধ এবং প্রোটিন সাপ্লিমেন্টে সয়া ব্যাপকভাবে ব্যবহার করছে। পেশীর শক্তির জন্য অনেক বেশি ব্যবহৃত হয়।
উদ্ভিদজাত প্রোটিন, অ্যামিনো অ্যাসিড, ফাইবার, ভিটামিন, মিনারেল এবং পলিফেনলের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি কেবল কোষের ক্ষতি রোধ করে না, কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্যকেও ভালো করে।