কথায় আছে, ভাদ্র মাসে তাল পাকে, পাকে তাল গরমে। এর অর্থে প্রথম পাকে অর্থে পাকা ধরা, আর দ্বিতীয় পাকে পাতে তোলার কথা বলা হয়েছে। ভাদ্র মাস মানেই তাল পাকার সময়। যদিও শ্রাবণ মাস থেকেই তাল পাকা শুরু হয়। জন্মাষ্টমীর আগে ও পরে বাঙালির বাড়ি বাড়িতে তালের মিষ্টি সুবাসময় হয়ে ওঠে।
তালের বড়া, তালের মালপোয়া, তালের কেক, কত কীই না বানানো হয় তাল থেকে। তালের ক্ষীর, তালের পিঠের মতো নানান খাবার।
বলা হয় ভাদ্রের তালের স্বাদ সবচেয়ে সুস্বাদু। এছাড়াও, ভাদ্রে তালের কী কী উপকারিতা জানুন। বৈশাখ জ্যৈষ্ঠে হয় তালের শাঁস, শ্রাবণ-ভাদ্রে তাল পেকে যায়। তালের শাঁস যেমন বহুগুণে ভরপুর। সেরকমই পাকা তালও খুব উপকারী। পাকা তালের একাধিক গুণ রয়েছে। তালে থাকা অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ। যা শরীরে ক্যানসার প্রতিরোধ শক্তি গড়ে তোলে।
স্মৃতিশক্তি তীক্ষ্ণ করে তাল। পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন বি আছে পাকা তালে। এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস আছে। তাল দাঁত ও হাড় মজবুত করে।
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে তাল খান। এতে পেটের নানা সমস্যা দূর হবে। খাওয়ার সহজে হজম করাতে সহায়ক। তাই ভাদ্রে যত খুশি তাল খান।
শনিদেব ও কৃষ্ণের প্রিয় ফল?
শনিদেবের পছন্দের ফল তাল। এমনকি কৃষ্ণেরও প্রিয় ফল তাল। তাই জন্মাষ্টমীতে তালের নানারকম পদ দেওয়া হয়।
ডায়াবেটিসে তাল খেতে পারেন?
পাকা তালের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স এবং গ্লাইসেমিক লোড দুটিই বেশি। তাই গরমে কচি তালশাঁস ব্লাড সুগারে খেতে সমস্যা না থাকলেও, পাকা তালের ক্বাথ মধুমেহ রোগে সমস্যা বাড়াতে পারে। তবে অল্প খেলে সমস্যা নেই। তবুও চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে খান।