করোনার দ্বিতীয় ঢেউ বাড়াচ্ছে আতঙ্ক। মহামারিতে বিধ্বস্ত গোটা বিশ্ব। প্রতি দিন নিত্য নতুন ধ্বংসের রেকর্ড গড়ছে এই মারণ ভাইরাস। ওষুধ, অক্সিজেনের অভাবে প্রাণ হারাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। মানুষের অসতর্কতার জন্য দ্বিতীয় ঢেউ আরও ভয়ানক হয়ে ফিরেছে। চিকিৎসকরা নিরন্তন বলছেন, স্বাস্থ্যকর এবং শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এমন খাবার ডায়েটে রাখতে হবে প্রতি দিন। জানেন কি, হাতের নাগালেই এমন অনেক খাবার রয়েছে যা রোগ প্রতিরোধ করার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে। দেখে নিন ডায়াটে কোন খাবার সাহায্য করবে আপনাকে।
মিষ্টি আলু
মিষ্টি আলুতে প্রচুর ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি৬ থাকে, যা মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এটি পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামেরও ভালো উৎস, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রেখে হার্টের সচল রাখতে সাহায্য করে। প্রচুর পরিমাণ ফাইবার আছে, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে এবং ক্রনিক রোগের ঝুঁকি কমায়, যেমন- টাইপ ২ ডায়াবিটিস ও হাই কোলেস্টেরল। মিষ্টি আলুতে উচ্চ মাত্রায় ‘ভিটামিন এ’ থাকে। ‘ভিটামিন এ’ আদতে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, যা ইমিউনিটি বৃদ্ধি করে এবং সুস্থ ত্বক ও দৃষ্টি বজায় রাখতে সাহায্য করে।
পালংশাক
পালংশাকে যেমন প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন 'কে', 'এ', 'সি', 'বি২' ও ফলিক অ্যাসিড থাকে, তেমনি ম্যাংগানিজ, ম্যাগনেসিয়াম ও আয়রনের গুরুত্বপূর্ণ উত্স। প্রতি ১০০ গ্রাম পালংশাকে ২৩ ক্যালরি, ৩ গ্রাম প্রোটিন, ৪ গ্রাম শর্করা ও ২ গ্রাম ফাইবার থাকে।
গ্রিন টি
গ্রিন টি আমাদের শরীরে মেটাবলিজমের মাত্রা সঠিক করতে সাহায্য করে। ফলে শরীরে অক্সিজেনের অভাব হয় না। যাঁরা ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন তাঁদের জন্য ভীষণ উপকারি গ্রিন টি। প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকায় শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও তৈরি করে গ্রিন টি।
এক কোয়া রসুন
অনেক কাজেক কাজি রসুন। সকালে উঠে খালি পেটে এক কোয়া কাঁচা রসুন খাওয়ার পরামর্শ অনেকেই দেন। এতে শরীরে যথেষ্ট পরিমাণে অক্সিজেনের জোগান বজায় থাকে এবং শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়।
ঘরে পাতা টক দই
পেটের সমস্যা নিরাময় করতে সাহায্য করে ঘরে পাতা টক দই। প্রতিদিনের খাবারে একবাটি করে টক দই যদি আপনি যোগ করেন তা হলে আপনার শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করার সঙ্গে সঙ্গে অক্সিজেনের মাত্রাও বজায় থাকবে।
অঙ্কুরিত বা ভেজানো কাঁচা ছোলা
অঙ্কুরিত ডাল বা কাঁচা ছোলা খাওয়া শরীরের পক্ষে খুবই ভালো। যে হেতু এতে প্রচুর ফাইবার রয়েছে, তাই ভেতর থেকে শরীর সুস্থ রাখতে অঙ্কুরিত ছোলা সাহায্য করে। এ ছাড়া শরীরের ক্ষতিকারক টক্সিন বের করতে সাহায্য করে এবং শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
যে কোনও ধরনের বাদাম
প্রতিদিনের খাবারে একমুঠো বাদাম যোগ করুন। সকাল-সন্ধ্যায় সামান্য খিদে পেলে বাইরের খাবার বা অস্বাস্থ্যকর স্ন্যাক্স না খেয়ে কয়েকটা বাদাম, কাজু-কিশমিশ খান। এতে শরীরে পুষ্টিও যোগ হবে। একই সঙ্গে শরীর অ্যালকালাইনও থাকবে এবং অক্সিজেনের মাত্রা বাড়বে।