ভ্রমণ উত্সাহীদের জন্য ইউরোপ বরাবরই রোমাঞ্চকর। বিদেশ ভ্রমণকারীদের অধিকাংশ মানুষ ইউরোপে ছুটি উদযাপন করতে যান। তবে অতিরিক্ত পর্যটন, অত্যধিক পর্যটকের আগমন, এখানকার সভ্যতা, সংস্কৃতি, স্থানীয় জীবন ও ঐতিহাসিক স্থানের ব্যাপক ক্ষতি করছে।
একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাইরে থেকে আসা পর্যটকরা এসে ময়লা ছড়িয়ে নোংরা করছেন পর্যটকেরা। শুধু তাই নয়, এখানকার সুন্দর সমুদ্র সৈকত এবং প্রাকৃতিক দৃশ্যের মধ্যে যৌনতার প্রচারও করছে তারা।
জার্নাল অফ এনভায়রনমেন্টাল ম্যানেজমেন্টের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, স্পেনের বিখ্যাত গ্রান ক্যানারিয়া দ্বীপ পর্যটকদের কিছু কার্যকলাপের কারণে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এই জায়গাটি প্রকৃতির সংরক্ষণ এবং বুনো বালির টিলাগুলির জন্য পরিচিত। সমুদ্র সৈকতে অবস্থিত বাতিঘর দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ এখানে ভিড় জমান।
আফ্রিকা এবং ইউরোপের মধ্যে পরিযায়ী পাখিদের জন্য একটি বিশ্রামের জায়গা, তবে পর্যটক এসে শান্তি ভঙ্গ হচ্ছে তারই।
সমীক্ষায় বলা হয়েছে, পরিচিত, অপরিচিতদের সঙ্গে অবাধে সেক্স জায়গাটিকে ক্ষতি করছে। গবেষকরা সমুদ্র সৈকতে ২৯৮টি সেক্স স্পট খুঁজে পেয়েছেন। এই স্থানে ভর্তি ঝোপ এবং টিলা। টিলাগুলিকে যৌনতার কাজে ব্যবহার করছেন কিছু পর্যটক। গবেষকরা বলছেন, পর্যটকদের এসব গতিবিধি আটটি দেশীয় প্রজাতির উদ্ভিদের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলছে।
গবেষকরা আরও বলছেন, পর্যটকরা এই গাছপালাকে মেরে ফেলছে। গাছপালা ও বালি তুলে ফেলে এটিকে সেক্স স্পটবানিয়ে ফেলছে। শুধু তাই নয়, পর্যটকরা এসে সিগারেট, কনডোম, টয়লেট পেপার, ওয়াইপ এবং ক্যানের মতো আবর্জনা ফেলে যাচ্ছে। সেক্স টয় পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছ।
গ্রেন ক্যানারিয়ার একটি বিশালাকার টিকটিকি, যা দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আসত, পর্যটকদের রেখে যাওয়া কন্ডোম খেয়ে মারা যায় সেটি। গবেষকরা আরও জানান, কিছু পর্যটক সরাসরি পর্যটন উন্নয়নের ক্ষতি করছে। সমীক্ষার লেখকরা বলছেন যে আমরা পাবলিক সেক্স বন্ধ করতে বলছি না, তবে আমরা চাই যে এর ফলে যে ক্ষতি হয় সে সম্পর্কে মানুষ সচেতন হোক। (প্রতীকী ছবি)