পর্নোগ্রাফি দেখা খারাপ নাকি ভালো? তা নিয়ে তর্ক-বিতর্ক প্রচুর। পর্নোগ্রাফি যৌন উত্তেজক ছাড়া আর কিছু নয়। কিন্তু অতিরিক্ত পর্নোগ্রাফি দেখলে কী হতে পারে? আসুন জেনে নেওয়া যাক।
যে কোনও রকম যৌন ক্রিয়া ডোপামাইন হরমোনের ক্ষরণ বৃদ্ধি কর। পুরুষের ক্ষেত্রে, পরিমিত পর্ন দেখলে মানসিক চাপ কমে। যে কারণে যৌন তৃপ্তি পাওয়া যায়।
ইজ্যাকুলেশনের কারণে স্ট্রেস হরমোনের পরিমাণ কমে ফলে মন ফুরফুরে হয়ে ওঠে। তাঁকে কোন বিষয়টা বেশি আকৃষ্ঠ করছে তা বুঝে নিয়ে বাস্তবে প্রয়োগ করতে পারলে যৌনজীবন আরও রঙিন হয়ে ওঠে।
মেয়েদের ক্ষেত্রে, যে সব মহিলাদের যৌন কামনার তাগিদ কম, তাঁদের পর্নোগ্রাফি দেখলে তাঁদের কামনার মুক্তি ঘটে। মেয়েরা প্রাথমিকভাবে পর্ন দেখতে লজ্জা পেয়ে থাকে।
তবে প্রাথমিক লজ্জা বা দ্বিধা কাটিয়ে উঠতে পারলে ইরোটিকা বা পর্নোগ্রাফি তাঁদের সেক্স করতে বাড়তি আত্মবিশ্বাস জোগায়। তাতে মজবুত হয়ে ওঠে সম্পর্কের বাঁধন।
তবে এর কিছু খারাপ দিকও আছে। পুরুষদের ক্ষেত্রে, অতিরিক্ত পর্নোগ্রাফি দেখলে মহিলাদের প্রতি তাঁদের আসক্তি বাড়তে পারে। পর্নোগ্রাফি একটি কাল্পনিক দুনিয়া তৈরি করে। সেইমতো যদি তাঁর সঙ্গিনী চাহিদা পূরণ করতে না পারে, তবে কেউ কেউ আগ্রাসী হয়ে উঠতে পারে।
মহিলাদের ক্ষেত্রে পর্নোগ্রাফির সবচেয়ে বড়ো সমস্যা হল, যে সমস্ত মহিলাদের পর্নে দেখানো হয়, তাঁদের সৌন্দর্য, শারীরিক গঠন একেবারে নিখুঁত হয়। অনেকেই এ কারণে নিজের চেহারা নিয়ে হীনম্মন্যতায় ভুগতে পারেন।
তবে অনেকেই পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত হয়ে পড়েন। তখন তাঁদের জীবনের ওপর এর মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে।
সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ব্রিটেনের এক জিম ট্রেনার নিকি ব্রায়ান্ট। ছোট থেকেই তিনি পর্ন দেখা শুরু করেন। যে কারণে তাঁর পরবর্তী জীবনে সেক্স সম্পর্কে তার মধ্যে একটা নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়।
ব্রিটেনে ২০১৯ সালে ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সীদের ওপর একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৭৭% পুরুষ এবং ৪৭% নারীর মধ্যে বেশিরভাগই জানান, পর্নোগ্রাফিতে যে সেক্স দেখানো হয় তার সঙ্গে বাস্তব জীবনের সেক্সের কোনও সম্পর্ক নেই। কারও কারও মনে হয়, পর্ন অতি রঞ্জিত। তার ফলে অনেকেই এর সঙ্গে বাস্তবের মিল খুঁজে পান না।