প্রতি বছর ১৬ অক্টোবর রাষ্ট্রসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (FAO) প্রতিষ্ঠা দিবসে বিশ্ব খাদ্য দিবস (World Food Day) হিসাবে পালিত হয়। এই দিনটি উদযাপনের উদ্দেশ্য হল পৃথিবীতে ক্ষুধার সমস্যা মোকাবেলা করা এবং খাদ্য নিরাপত্তা প্রদান করা।
রাষ্ট্রসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (FAO) রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী ৬৯ কোটিরও বেশি মানুষ প্রতিদিন ক্ষুধার্ত অবস্থায় ঘুমায়। বিশ্ব খাদ্য দিবস (World Food Day) দুই ভাবে উদযাপিত হয়। এক, এই দিনে বিশ্বকে ভাল খাবার খেতে উৎসাহিত করা হয়। আর দুই, বিশ্বে খাদ্য ঘাটতি মোকাবেলায় প্রচেষ্টা প্রচার করা হয়।
এই দিনটি উদযাপনের প্রস্তাবটি ১৯৭৯ সালের নভেম্বরে হাঙ্গেরির কৃষি ও খাদ্য মন্ত্রী ডঃ পল রোমানি দিয়েছিলেন। তারপর থেকে প্রতি বছর ১৬ অক্টোবর ১৫০টিরও বেশি দেশে পালিত হয় এই দিনটি।
এই উপলক্ষে অনেক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়। খাদ্য ও কৃষি সংস্থা বলছে, বিশ্বব্যাপী ১৪ শতাংশ খাদ্যদ্রব্য খারাপ হয়ে যায় কারণ এটি কাটার, সংরক্ষণ ও সরবরাহের কোনও ব্যবস্থা নেই।
একই ভাবে, ১৭ শতাংশ খাদ্য উপাদানই পচনশীল। যদি খাবারের উপযুক্ত সংরক্ষণ করে এই ক্ষতি বন্ধ করা হয়, তাহলে বিশ্বের কয়েক কোটি মানুষ যাঁরা ক্ষুধার্ত অবস্থাতেই ঘুমাতে বাধ্য হয়, তাঁদের খাবার দেওয়া যাবে।
দিল্লির ম্যাক্স হাসপাতালের ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন অ্যান্ড ডায়াটিক্স বিভাগের প্রধান রিতিকা সমাদ্দার জানান, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ধরে রাখতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। তাঁর মতে, ভারতীয়দের খাবারে প্রোটিন সঠিক মাত্রা বজায় রাখার বিষয়ে খেয়াল রাখা দরকার।
রিতিকা সমাদ্দার জানান, ভারতীয়দের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় প্রোটিনের ভাগ কম থাকে। অতএব, উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবার, যেমন মুসুর ডাল, সয়াবিন, ডিম, মুরগির মাংস আর বাদাম খাওয়া দরকার। তিনি জানান, আমাদের দৈনিক খাদ্যের এক-চতুর্থাংশ প্রোটিন হওয়া উচিত।
ইন্ডিয়ান মার্কেট রিসার্চ ব্যুরো কর্তৃক পরিচালিত একটি সমীক্ষার ফলাফল অনুযায়ী, দিল্লি-সহ সারা দেশে ৭৩ শতাংশ অর্থবান মানুষের শরীরে প্রোটিনের অভাব রয়েছে। এঁদের অনেকেই সচেতন নয় যে প্রতিদিন তাদের ডায়েটে কতটা প্রোটিন থাকা উচিত।