অম্বল-গ্যাস হলেই অনেকেই ওষুধ খেয়ে নেন। একই কথা প্রযোজ্য অ্যান্টিবায়োটিকের ক্ষেত্রেও। আমাদের দেশের মানুষ জ্বর-জ্বালা হলেই অ্যান্টিবায়োটিক খেতে শুরু করেন। কেউ ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে আবার অনেকে তারও ধার ধারেন না। নিজেরাই অ্যান্টিবায়োটিক কিনে এনে খেতে শুরু করেন। তবে এর ফল কিন্তু বিপজ্জনক।
বিখ্যাত জার্নাল The Lancet এই নিয়ে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছে। সেখানে উল্লেখ, ভারতের লোক মনে করে অ্যান্টিবায়োটিক খেয়ে তারা দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবে। সেজন্য শরীর খারাপ হলেই তারা এই ওষুধ নিতে শুরু করে।
The Lancet-এ প্রকাশ, বেশি অ্যান্টিবায়োটিক শরীরের ক্ষতি করে। ব্যাকটেরিয়া মারার জন্য অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। তবে এই শরীরে থাকা ব্যাকটেরিয়া এই অ্যান্টিবায়োটিকে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। যার ফলে তাদের ক্ষমতা বেড়ে যায়। আর অ্যান্টিবায়োটিক তখন তাদের শরীরে আর কোনও কাজ করে না।
আরও পড়ুন : বিয়ের ঠিক হতেই প্রেমিককে বিষ খাইয়ে খুন করল যুবতী
গবেষণাপত্রে আরও প্রকাশ, করোনার সময় ভারতের মানুষ সবচেয়ে বেশি অ্যান্টিবায়োটিক খেয়েছেন। সব থেকে বেশি খাওয়া হয়েছে Azithromycin।
অ্যান্টিবায়োটিক কখন খাওয়া উচিত?
ওই জার্নালে উল্লেখ, অ্যান্টিবায়োটিক তখনই নেওয়া উচিত যখন ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন হয় শরীরে। তার আগে নেওয়া উচিত নয়। সেখানে আরও উল্লেখ, ভারতে যে ৪৪ শতাংশ অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহৃত হয়েছে তা CDSCO-র থেকে মান্যতা পায়নি। অর্থাৎ মাত্র ৪৪ শতাংশ অ্যান্টিবায়োটিক কেন্দ্র সরকারের মান্যতা পেয়েছে। তারপরও রাজ্য সরকারের থেকে মান্যতা নিয়ে ওষুধ বিক্রি হয়।
বেশি অ্যান্টিবায়োটিক খেলে কী হবে ?
The Lancet-এ প্রকাশ বেশি অ্যান্টিবায়োটিক খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। যে ব্যাকটেরিয়া মারার জন্য ওষুধ নেওয়া হয় সেগুলোই আস্তে আস্তে শক্তিশালী হতে শুরু করে। এছাড়াও পেটে ব্যথা, অ্যালার্জি হতে পারে।