প্রস্রাবে গেলে সমস্যা হচ্ছে? অনেকেই এই ধরনের সমস্যা প্রকাশ করেন না। কারও সঙ্গে ব্যক্তিগত সমস্যা ভাগ করে নেন না। রোগ গোপন করেন। আর তার পরিণতি ভয়ঙ্কর হতে পারে। সময়মতো চিকিৎসা না করালে মারাত্মক অসুখ বাসা বাঁধতে পারে শরীরে। নির্দিষ্ট সময় অন্তর পরীক্ষা করা উচিত। যাতে আপনি সময়মতো রোগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। ব্রিটেনের স্বনামধন্য চিকিৎসক মিরিয়াম স্টপার্ডের মতে, অনেকের প্রস্রাবে রক্ত থাকে। যা গুরুতর অসুস্থতার লক্ষণ হতে পারে। তাই প্রস্রাব করার সময় সকলের মনোযোগ দেওয়া উচিত।
রোগের লক্ষণ কী?
Mirror.co.uk-তে এনিয়ে আস্ত একটি নিবন্ধ লিখেছেন মিরিয়াম স্টপার্ড। তাঁর কথায়,'আমার এক বন্ধু উদ্বেগ নিয়ে ফোন করে বলেছে, ওঁর প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত বেরোচ্ছে। যা রোগের লক্ষণ। তাই ওঁকে জিজ্ঞেস করলাম, বিটরুট খেয়েছে কিনা? ওঁ উত্তর দিল, হ্যাঁ। তখন আমি বললাম, বিটরুটের কারণে প্রস্রাবের রং অনেক সময় গোলাপি হয়ে যায়, যা দেখতে রক্তের মতো লাগে।'
আমি ওঁকে বুঝিয়েছিলাম, বিটরুটের রং লাল। যা প্রস্রাবের সঙ্গে বেরিয়ে যায়। রক্ত হলে জমাটবদ্ধ হত। তা গুরুতর অসুস্থতার লক্ষণ। প্রস্রাব, প্রস্টেট বা কিডনি ক্যানসারের পরীক্ষা করানো হলে আসল ব্যাপারটা বেরিয়ে আসে।
মূত্রাশয় ক্যান্সারের সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ হল প্রস্রাবে রক্ত। যাকে হেমাটুরিয়া বলা হয়। ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের অনিকা মদনের মতে, মূত্রাশয় ক্যানসারে আক্রান্ত প্রায় ৮০ শতাংশ রোগীর ক্ষেত্রে এই সমস্যা দেখা যায়।
প্রস্রাবে রক্ত বেরিয়ে আসা মানেই মূত্রাশয় ক্যানসার নয়। অন্য কারণও থাকতে পারে। প্রস্টেট বাড়া, মূত্রনালীর সংক্রমণ (ইউটিআই) বা অনেকক্ষণ শরীরচর্চার কারণেও হতে পারে।
ইউটিআই-এর লক্ষণ হতে পারে প্রস্রাবে ব্যথা, প্রস্রাবের রং পরিবর্তন, ঘন ঘন প্রস্রাব, প্রস্রাব ধরে রাখতে না পারা ইত্যাদি। দীর্ঘক্ষণ দৌড়ানোর মতো ব্যায়াম বা সাঁতারের মতো কার্যকলাপের কারণেও প্রস্রাবে রক্ত পড়তে পারে। তাঁরা সাধারণত ১-২ দিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে যান।
কিছু ওষুধ বা নির্দিষ্ট খাবার খাওয়ার ফলেও আসতে পারে প্রস্রাবে রক্ত বেরিয়ে আসতে পারে। কেউ যদি বিট, ব্ল্যাকবেরি বা লাল জাতীয় খাবার খান, তবে কখনও কখনও প্রস্রাবের রং গোলাপি বা লাল হতে পারে। পিরিয়ডের সময় যোনিপথে রক্তপাতের কারণেও হতে পারে।
আরও পড়ুন- ব্রেনকে শক্তিশালী করতে কতক্ষণ ঘুম দরকার? যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা...