শরীরে ভাল এবং খারাপ উভয় ধরনের কোলেস্টেরলই থাকতে পারে। ভাল বা গুড কোলেস্টেরল একটি স্বাভাবিক বিষয়। তবে খারাপ বা ব্যাড কোলেস্টেরল স্বাস্থ্যে সমস্যার সৃষ্টি করে। বিশেষ করে বেড়ে যাওয়া কোলেস্টেরল হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এই পরিস্থিতিতে খাদ্যাভ্যাস কিছুটা পরিবর্তন আনলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করা তুলনামূলকভাবে সহজ হয়ে ওঠে। এই প্রতিবেদনে তেমনই ৫টি জিনিসের কথা উল্লেখ করা হচ্ছে যেগুলি ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত (Cholesterol Control Food) করলে তা কোলেস্টেরলের বর্ধিত মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
ওটস - ওটস দ্রবণীয় ফাইবারের খুব ভাল উৎস। দিনের শুরুতেই এই খাবারটি খাওয়া যায়। এটি শুধু কোলেস্টেরল কমাতেই সাহায্য করে না, ওজন নিয়ন্ত্রণেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এছাড়া, বার্লি-বাজরার মতো খাবারও ব্রেকফাস্টের জন্য খুব ভাল।
ভেন্ডি - গবেষণা অনুসারে, ভেন্ডিতে যে জেল থাকে তা কোলেস্টেরল কমাতে সহায়ক এবং এটি খেলে মলের মাধ্যমে শরীর থেকে ব্যাড কোলেস্টেরল বের হয়ে যায়। দিনের যেকোনও সময় খেতে পারেন এই সবজি।
আপেল - ফলের মধ্যে আপেলকে যদি ডায়েটে রাখেন তাহলে সেটি স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিবিধ সমস্যা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে। উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতেও আপেল খাওয়া যেতে পারে। কোলেস্টেরল কমাতে দিনে ২টি করে আপেল খেতে পারেন।
ড্রাই ফ্রুটস - এমন অনেক ড্রাই ফ্রুটস আছে যা কোলেস্টেরল কমাতে সহায়ক। এগুলিতে ভাল পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা শরীর থেকে কোলেস্টেরল শোষণ এবং দ্রবীভূত করতে সহায়ক ভূমিকা নেয়। তাই ডায়েটে অনায়াসেই বাদাম, আখরোট, কাজু এবং পেস্তা সামিল করতে পারেন।
রসুন - এটি এমন এক ধরনের সবজি যা বিভিন্ন রান্নায় ব্যবহৃত হয়। এটি খেলে কোলেস্টেরলও নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই খাবারে রসুন খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী।
(Disclaimer : প্রতিবেদনটি সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে লেখা, প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।)
আরও পড়ুন - সকালে খালি পেটে খান আমলকী-জল, ফল পাবেন হাতেনাতে; কীভাবে বানাবেন?