বেড়েছে ব্যস্ততা। ফলে মানুষের জীবনযাত্রায় এসেছে আমূল পরিবর্তন। সময়ের অভাবে অনেকেই খাওয়া-দাওয়া সময় মতো করতে পারেন না। ফলে শারীরিক সমস্যা বাড়ে। আমাদের দেশের প্রায় ৩২ শতাংশ মানুষ এখন ফ্যাটি লিভারে ভুগছেন।
কীভাবে জানবেন আপনার ফ্যাটি লিভার রয়েছে? এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভালো ফ্যাটি লিভার দুই রকম হতে পারে। অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ও নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার।
নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের তেমন কোনও লক্ষণ সাধারণত দেখা যায় না। তবে কখনও কখনও ক্লান্তি, পেটের উপরের ডানদিকে ব্যথা, অস্বস্তিতে ভুগতে পারেন। এছাড়াও জন্ডিস, হঠাৎ করে ওজন কমে যাওয়া ইত্যাদি হল নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের অন্যতম লক্ষণ।
আরও পড়ুন : EPFO-র ২৮ কোটি গ্রাহকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট-আধারের তথ্য ফাঁস! আপনারটা সুরক্ষিত আছে ?
আবার অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের লক্ষণও প্রায় একই। অতিরিক্ত মদ্যপান করলে এই ডিসিস দেখা দিতে পারে।
চিকিৎসকদের মতে ফ্যাটি লিভারের জেরে অসুবিধা বাড়লে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। তবে এর সঙ্গে নিত্যদিন মেনে চলতে হবে কিছু নিয়ম। তাহলে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা কমবে।
যেমন, তেল-ঝাল কম খেতে হবে। বাইরের খাবার এড়িয়ে যাওয়া ভালো। মদ্য়পান পরিমিত। এড়িয়ে চলুন পেস্ট্রি -বার্গার.. এই জাতীয় খাবার। কোল্ড ড্রিঙ্কস বা জাতীয় পানীয় না খাওয়া ভালো। সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হল নিয়মিত এক্সারসাইজ। রোজ সকালে নিয়ম করে হাঁটুন। অথবা দিনের যে কোনও সময়। বাড়িতে ব্য়ায়াম করতে পারেন। যেতে পারেন জিমেও।
এছাড়াও শাক-সবজি, মরশুমি ফল খাওয়া প্রয়োজন বলেও পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। আর হ্যাঁ, কারণ তেল, ঘি, মাখন খাওয়া কমাতে হবে।