ফ্যাশন তো হয় বটেই, রোদ থেকে চোখ বাঁচায় রোদ চশমা। তবে অনেকের অজানা যে, রোদ চশমা ব্যবহারেরও নির্দিষ্ট কিছু বিধিনিষেধ রয়েছে। তাই কেনার আগে এমন সানগ্লাস কিনুন যা অন্তত ৯৯% থেকে ১০০% সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি থেকে চোখকে বাঁচাতে সক্ষম। ইউভি ৪০০-এর লেবেলযুক্ত রোদ চশমা চোখকে সুরক্ষিত রাখে। সুতরাং কেনার আগে এসব দেখেশুনে কেনা উচিত।
এ ছাড়া পোলারাইজড লেন্সযুক্ত রোদ চশমা সূর্যের কড়া আলো থেকে শুধু বাঁচায় না, চারপাশকে অনেক বেশি পরিষ্কার দেখায়। তবে কেনার আগে নিজের প্রয়োজনীয়তা বুঝে কেনা উচিত। পোলারাইজড লেন্স ওয়াটার, বরফ ও কাচ থেকে প্রতিফলিত আলোকরশ্মি কমাতে সাহায্য করে।
রোদচশমা কিনতে হবে দিনের বেলা। কেনার আগে সানগ্লাস পরে দোকানের বাইরে এসে অবশ্যই পরখ করে নেবেন আপনার চোখ কতটা ডার্ক গ্লাসে স্বচ্ছন্দবোধ করছে। সেটা পরে হেঁটে দেখুন, মাটির দিকে তাকান, একটু উঁচু-নিচু জায়গা দিয়ে হাঁটুন। পরখ করে নিন আপনার দেখতে কোনও সমস্যা হচ্ছে কি না। ব্যবহার করতে করতেও স্ক্র্যাচ পড়ে, সে ক্ষেত্রে সানগ্লাস বদলে ফেলুন। স্ক্র্যাচের ফলে চশমায় পড়া আলো ছড়িয়ে যায়, যা চোখের পক্ষে ভাল নয়।
যাঁদের চোখে পাওয়ার আছে তাঁরা অবশ্যই পাওয়ার দিয়ে সানগ্লাস তৈরি করিয়ে নিতে হবে। না হলে ক্লিপ চশমা ব্যবহার করতে হবে। যাতে প্রয়োজনে টিন্টেড গ্লাস লাগিয়ে পরা যায়। পাহাড়ে গেলে সানগ্লাস মাস্ট, বিশেষ করে বরফের ওপর। বরফে সূর্যের প্রতিফলনের আলো কর্নিয়ার ক্ষতি করে। তাঁদের জন্য ইউভি রে প্রোটেকটেড পোলারয়েড সানগ্লাস উপযুক্ত।
একেবারে চোখের মাপে নয়, একটু বড় সানগ্লাস পরলে ভাল। এতে চোখের নীচে কালি পড়ে না, দ্রুত রিঙ্কল পরাও কিছুটা আটকানো যায়। ছোটদের জন্য সানগ্লাস কিনুন অতি সাবধানে। এক্ষেত্রে বিশ্বস্থ ও প্রতিষ্ঠিত চশমার দোকানে যাওয়াই ভালো। মেলা বা কোনো উৎসব থেকে কেনা রোদচশমা কিনে দেবেন না।
আরও পড়ুন-গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে কুমড়ো অব্যর্থ, কমায় ওজনও